এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আংশিক সময়ের শিক্ষকদের জন্য বড়সড় সুখবর, জেনে নিন

আংশিক সময়ের শিক্ষকদের জন্য বড়সড় সুখবর, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২০০২ সালে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকার অনুমোদিত উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিতে আংশিক সময়ের জন্য মোট ৯০০ শিক্ষককে নিযুক্ত করা হয়েছিল। প্রথমে এই শিক্ষকদের চুক্তির ভিত্তিতে এক বছরের জন্য নিয়োগ করা হলেও পরবর্তীকালে তাদের কার্যকাল বৃদ্ধি করা হয়। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত তাঁরা এই পদে নিযুক্ত থাকবেন। এরপর ‘একই কাজের জন্য সম বেতন’ দাবিতে এই শিক্ষকদের পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে পরপর দুটি মামলা করা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্ট গত বছর তাদের দাবির মান্যতা দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানায়।

সম্প্রতি হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের পূর্বের দেওয়া রায়ের কিছুটা সংশোধন করে জানায়, স্কুলের স্থায়ী শিক্ষকদের মত আংশিক সঙ্গে শিক্ষকদের সমান বেসিক পে দেওয়া যায় কিনা, তা সরকারকেই নির্ধারণ করতে হবে। কারণ, সরকার হলো ‘মডেল এমপ্লয়ার’।

হাইকোর্টের এই মামলা চলাকালীন জনৈক মামলাকারীর আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন যে, গত ২০০২ সালে চুক্তির ভিত্তিতে এক বছরের জন্য এই শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে তাদের অবসর গ্রহণের বয়স ৬০ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, যে বিষয়ের জন্য তাদের নিয়োগ করা হয়েছে সে বিষয়ে অন্য কোন স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করা হবে না। এমনকি তাদের জন্য ছুটিও বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। আবার এই শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই উচ্চ শিক্ষা সংসদের পরীক্ষকের কাজও সম্পন্ন করেছেন। আবার স্থায়ী স্কুলশিক্ষকদের মতো তারাও স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন। তাই তাদের চাকরি স্থায়ী না হলেও তাদের সমান বেতন এর দাবি জানানো হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, আদালতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, গত ১৯৯৭ সালে রাজ্যের সরকারি অনুমোদিত স্কুলগুলিতে শিক্ষক- শিক্ষিকা নিয়োগের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন গঠন করা হয়েছিল। যার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। আংশিক সময়ের শিক্ষকদের যেহেতু সেই কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়নি, তাই সমান ‘বেসিক পে’ তারা পেতে পারেন না।

দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি সৌমেন্দ্র বিচারপতির সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ধরণের শিক্ষকদের নিয়োগ পদ্ধতি ভিন্ন হলেও মামলাকারীরা তাদের ‘বেসিক পে’ পাওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাতে পারে। কারণ তাদের নিয়োগ কোনভাবেই নীতিবিরুদ্ধ উপায়ে করা হয়নি। এক্ষেত্রে হাইকোর্টের বেঞ্চ জানিয়েছে, এক্ষেত্রে তাদের ‘বেসিক পে’ পাবার জন্য সরকারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করতে হবে। এবং সরকার চুক্তির ভিত্তিতে তাঁদের নিয়োগ করেছিল বলে এই স্মারক লিপি খারিজ করতে পারবেনা।

প্রসঙ্গত রাজ্য সরকারকে হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চ এর পক্ষ থেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!