প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই বাংলার হিংসা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এক্ষেত্রে বাংলার বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকে যেমন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, ঠিক তেমনই গোটা বিষয় নিয়ে সরব হতে দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকারকে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বারবার কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল বিজেপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে পশ্চিমবঙ্গকে রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন তৃণমূলের একাংশ।

আর এবার শাসকদলের সেই আশঙ্কা এবং চিন্তা বাড়িয়ে গোটা দেশের দুই হাজারের বেশি মহিলা আইনজীবী একটি চিঠি পাঠালেন দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে। যেখানে বাংলার হিংসা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রায় দুই হাজারের বেশি আইনজীবীর পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্র করে গুঞ্জন ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।

সূত্রের খবর, দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের 2093 জন মহিলা এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। যেখানে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই বাংলার হিংসা সকলের নজর কেড়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে সেই চিঠিতে। তাই এই ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারকে যে যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে ফেলে দিলেন দেশের মহিলা আইনজীবীরা, তা বলাই যায়।

একাংশ বলছেন, এর ফলে বিজেপি তাদের হাতে নতুন অস্ত্র পেয়ে গেল। এতদিন তারা মুখে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ করত। কিন্তু এবার গোটা দেশের মহিলা আইনজীবীরা যে প্রশ্ন তুলে দিলেন, তাতে তৃণমূলের অস্বস্তি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তাহলে কি পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে? এতদিন বিরোধীরা এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল এই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকে। আর এবার গোটা দেশের মহিলা আইনজীবীরা এভাবে বাংলার হিংসার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ জানালেন, তাতে আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে।

অনেকে বলছেন, বিজেপি সব সময় চেষ্টা করেছিল, সারাদেশের কাছে বাংলার হিংসার ঘটনা তুলে ধরার। আর এবার গোটা দেশের মহিলা আইনজীবীরা একত্রিত হয়ে সেই বাংলার হিংসার ঘটনাকে হাতিয়ার করে রাস্ট্রপতির কাছে অভিযোগ জানানোয় কেন্দ্র এবং ভারতীয় জনতা পার্টি বড় সুযোগ পেয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বাংলা নিয়ে চিঠি হাতে পাওয়ার পর কি উদ্যোগ নেন রাষ্ট্রপতি, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।