এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > ফের মোদীর বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিলেন অধীর, সিবিআই ডিরেক্টর নির্বাচন নিয়ে অস্বস্তি তুঙ্গে!

ফের মোদীর বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিলেন অধীর, সিবিআই ডিরেক্টর নির্বাচন নিয়ে অস্বস্তি তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  “সিবিআই কেন্দ্রের খাঁচাবন্দি তোতাপাখি”, এই অভিযোগ বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারবার তোলা হয়েছে। বাংলার নির্বাচনের পর যখন বিজেপি পরাজিত হয়েছে, তখন মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য এবং তৃণমূল বিধায়কদের যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দেশের সমস্ত বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। অর্থাৎ সিবিআই যে কেন্দ্রের কথা মত চলে, তা কার্যত স্পষ্ট। বিরোধীদের কাছে বারবার এই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে বিজেপির কথা শুনে প্রতিহিংসাপরায়ন আচরণ করার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস, তৃণমূল সহ একাধিক বিজেপি বিরোধী দলগুলো।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার সিবিআইয়ের ডিরেক্টর নির্বাচন নিয়ে সরব হলেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। যেখানে গোটা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা বাংলার সাংসদ অধীর চৌধুরীর সিবিআই ডিরেক্টর নির্বাচন নিয়ে এই ধরনের প্রশ্ন তোলা কেন্দ্রের মোদী সরকারকে যে যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে ফেলে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সূত্রের খবর, সোমবার সিবিআই ডিরেক্টর নির্বাচন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। আর সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। আর এই পরিস্থিতিতে অধীর রঞ্জন চৌধুরী সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকার পর যে প্রশ্ন তুলে দিলেন, তা রীতিমত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মূলত, সিবিআই ডিরেক্টর নির্বাচন পর্ব থেকে 93 জনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলতে দেখা গেল অধীরবাবুকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, “109 জনের মধ্যে 16 জনের ডিটেইল রিপোর্ট দেওয়া হল। অর্থাৎ বাকি 93 জনের কোনো ডিটেইল রিপোর্ট দেওয়া হয়নি। কোন বিচারে এই 93 জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে, সেটা স্পষ্ট নয়। তাই সরকার সেটা জানাক।” স্বভাবতই অধীর চৌধুরীর এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশজুড়ে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অধীর চৌধুরীর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, সিবিআইয়ের ডিরেক্টর নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। এর আগে বারবার বিরোধীরা সিবিআইকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছে। আর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ ওঠার মাঝেই বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের পরেই নারদ কান্ডে গ্রেপ্তার যে প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণের অন্যতম নজির, তা একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বিরোধীদের কাছে।

আর এই পরিস্থিতিতে পদাধিকার হিসেবে সিবিআই ডিরেক্টর নির্বাচনের বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। তবে সেখানেও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিলেন তিনি। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!