এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা আবহে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে হেভিওয়েট বিজেপি নেতা! নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে জল্পনা

করোনা আবহে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে হেভিওয়েট বিজেপি নেতা! নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা আবহে থরথর করে কাঁপছে গোটা দেশ আর তার মধ্যে মহারাষ্ট্রের চিত্রটা সবথেকে উদ্বেগজনক। এই পরিস্থিতিতে সেখানে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা হেভিওয়েট বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশের এক বৈঠক সম্পন্ন হয়। যে বৈঠক ঘিরে এখন রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে মহারাষ্ট্রে। এই ব্যাপারে বিজেপি বা শিবসেনা কেউ মুখ না খুললেও, সেখানে এক নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের আভাস পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত, শিবসেনা ছিল বিজেপির সবথেকে পুরোনো শরিক। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগে দুই দলের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। এরপর নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতেই – আবার দুই পুরোনো বন্ধু এক ছাতার তলায় আসে। আর তারপর দুই দল জোট করে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করে। সেই জোট ক্ষমতায় এলেও, এককভাবে সরকার গড়ার মত শক্তি কোনো দলেরই ছিল না। তাই সবাই ভেবেছিল, আগের সরকারের মত এবারেও বৃহত্তম দল হওয়ায় বিজেপিকে মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেবে শিবসেনা।

কিন্তু, যেহেতু তাদের বিধায়কদের সমর্থন ছাড়া সরকার হবে না, তাই এবারে বেঁকে বসে শিবসেনা। তাদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীত্ব আড়াই-আড়াই বছর করে ভাগ হোক। যা মানতে রাজি হয় না বিজেপি। এর ফলে, শিবসেনাকে বাদ দিয়ে এনসিপির একটা বড় অংশ ভাঙিয়ে সরকার গঠনের চেষ্টা করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। কিন্তু, খুব দ্রুতই তিনি বুঝতে পারেন, সেই সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমান করতে পারবে না। ফলে, পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এই অবস্থায় এনসিপি ও কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়েন উদ্ধব ঠাকরে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু, নীতি-আদর্শগত ভাবে বিপরীত ধর্মী দলগুলির এই জোট যে খুব স্বস্তিতে নেই তা বারেবারেই প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে। এমনকি, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবার জন্য উদ্ধব ঠাকরের বিধান পরিষদে নির্বাচিত হয়ে আসা জরুরি ছিল। আর তা বাস্তবায়িত করার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন। জোট ভেঙে গেলেও নরেন্দ্র মোদী তাঁকে আশাহত করেননি। ব্যবস্থা হয় বিধান পরিষদের নির্বাচনের – কিন্তু সেখানে জোটসঙ্গী কংগ্রেসের জেদের জন্য একসময় সব ভেস্তে যেতে বসেছিল!

ফলে, সেই আবহে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ও বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশের এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এই বৈঠক নিয়ে এখনও পর্যন্ত নিজে মুখ খোলেননি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। অন্যদিকে, দেবেন্দ্র ফড়নবীশ জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্র বা মুম্বইতে করোনা পরিস্থিতি ভয়ানক হলেও, সেখানে ঠিকঠাক টেস্ট হচ্ছে না। আর তারফলে, প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা সামনে আসছে না। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় নিসর্গের প্রকৃত ক্ষতি নিয়েও সরকারের কাছে সঠিক তথ্য নেই। এই সব নিয়েই মূলত বৈঠক হয়েছে।

কিন্তু, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের কথার জন্য সাংবাদিক বৈঠক বা চিঠিই যথেষ্ট। এর জন্য আলাদা করে একান্তে বৈঠকের কি প্রয়োজন? মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি যা, তাতে কেন্দ্রের পূর্ণ সহযোগিতা ছাড়া আগামী দিনে চলা মুশকিল। অন্যদিকে, বিরোধী জোটে থাকার ফলে, অনেক ক্ষেত্রেই উদ্ধব ঠাকরের হাত-পা বাঁধা পরে যাচ্ছে! জোট রাজনীতির বাধ্য-বাধকতা মানার জন্য তিনি অনেক কিছু নাকি করতে চেয়েও পারছেন না। এই অবস্থায় যদি তিনি কেন্দ্রীয় সরকার পক্ষের জোটে থাকেন, তাহলে তাঁর জেনে অনেক কিছুই ‘আসান’ হয়ে যাবে। ফলে, দুই হেভিওয়েট নেতার বৈঠক ঘিরে এখন সরগরম মহারাষ্ট্রের রাজনীতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!