পরবর্তী পাক প্রধানমন্ত্রীর নাম ইমরান খান? আশা-আশঙ্কার দোলাচলে প্রতিবেশী রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক July 26, 2018 আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যেই জনগনের রায়ে নির্ধারিত হতে চলেছে পরবর্তী পাঁচ বছরের দেশ শাসকের নাম। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের। প্রসঙ্গতঃ ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকে দফায় দফায় সামরিক অভ্যুত্থানে সে দেশের গণতন্ত্র খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে। নির্বাচন পদ্ধতির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় এলেও সরকারের মেয়াদ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। কারণ পাক সেনাবাহিনী পরোক্ষভাবে ইন্ধন জুগিয়েছে। ২০০৮ সালের পর থেকে সে দেশের চিত্রটা টা আংশিক বদল হয়েছে। বেনজির ভুট্টোর স্বামী আসিফ আলি জারদারির নেতৃত্বে পাকিস্তান পিপল্স পার্টি টানা ৫ বছর সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা ছাড়াই দেশ শাসন করেছে। ২০১৩ সালে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বেলাতেও এর ব্যক্তিক্রম হয়নি। ২০১৮ সালে এই নিয়ে পর্যায়ক্রমে তিনবার সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন পাকিস্তানের স্বাধীনতা পরবর্তী রাজনৈতিক ইতিহাসে শুধু বিরলই নয় এই প্রথম ও বটে। উল্লেখ্য ২৫ শে জুলাই পাকিস্তানের নির্বাচনের দিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ পর্ব স্থায়ী হয়। পাক জাতীয় সংসদের ২৭২টি আসন ও প্রাদেশিক আইনসভার ৫৭৭টি আসনে নির্বাচন হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করার জন্যে প্রয়োজন ১৩৭টি আসন। পাকিস্তান মুসলিম লিগ এবং তেহরিক-ই-ইনসাফ এর মতো প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোট গ্রহণের সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানালেও অচিরেই তা নাচক হয়ে যায়। এই নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ, তেহরিক প্রধান ইমরান খান এবং প্রয়াত বেনজির ভুট্টোর ছেলে তথা পাকিস্তান পিপল্স পার্টির সভাপতি বিলাবল ভুট্টো প্রমুখ নেতৃ বর্গ। ইসলামাবাদের এনএ-৫৩ নির্বাচনী কেন্দ্রে নিজের ভোট দেওয়ার সময়ে সেখানে উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিকে ক্যামেরার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ প্রার্থী ইমরান খান জানালেন তাঁকে নয়, দেশের স্বার্থেই যেন মানুষ ভোট দান করেন। একইসাথে এদিন তিনি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে তাঁর বিপক্ষে প্রচারের অভিযোগও এনেছেন। তাঁর কথায় তিনি দেশপ্রেমিক। নওয়াজ শরিফের মতো দেশ লুঠ করেননি, সেনাবাহিনীকে অস্বীকার করেননি। এরমধ্যেই একটি উল্লেখ যোগ্য ঘটনা হলো এই বছরের নির্বাচনের প্রথমবারের জন্য সেদেশের আফগানিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন দির এলাকা, কোহিস্তান এবং উত্তর ও দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার মহিলারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। এই সব এলাকা তালিবানের শক্ত ঘাঁটি হওয়ায় সেখানে এতদিন অবধি নারীর ভোটাধিকার ছিল না। যদিও পাক নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের কিছু আগেই ঘোষণা করে যে সব এলাকায় মহিলাদের ভোট দিতে দেওয়া হবে না, সেখানে নির্বাচন প্রক্রিয়াই বাতিল ঘোষিত হবে। জানা যাচ্ছে সেদেশে মহিলাদের নির্বিঘ্নে ভোটদানে উৎসাহিত করতে আলাদা ভোটকেন্দ্রের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। সেখানে মহিলা পোলিং এজেন্ট ছাড়া কারও প্রবেশের অনুমতি ছিল না আপনার মতামত জানান -