এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েতের প্রস্তুতিতে বিরোধীদের অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে শাসকদল

মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েতের প্রস্তুতিতে বিরোধীদের অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে শাসকদল

আগামী আগামী পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসের নওদা ব্লক হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। পঞ্চায়েত ভোটের দিকে তাকিয়ে পাড়া বৈঠক, মিছিল, কর্মিসভা করে তৃণমূল হাওয়া গরম করে তুলেছে। কিন্তু স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের রাজনৈতিক কর্মসূচি অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। মাঝেমধ্যে কর্মিসভা ও মিছিল করলেও আগের মতো উদ্দীপনা দেখা যায় না। তাদের কর্মসূচিতে মানুষের জমায়েতও উল্লেখযোগ্য হচ্ছে না। বামফ্রন্টের হাল আরও শোচনীয়। ময়দানে তাদের দেখা যায় না বললেই চলে। তাই আগামী পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় কংগ্রেস ও সিপিএম।
মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের ঘাঁটিগুলির মধ্যে নওদা অন্যতম। এই ব্লকের নওদা গ্রামেই দলের জেলা সভাপতি আবু তাহের খানের বাড়ি। তিনি নওদা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়কও। পর পর চারবারের বিধায়ক তিনি। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতিও তাঁদের দখলে। তবে এখন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য মোশারফ হোসেনের কথা অনুসারে, এখানে দলে কোনও কোন্দল নেই। ঐক্যবদ্ধভাবে বুথস্তরে বিভিন্ন প্রকল্পের উপভোক্তাদের নিয়ে মিটিং করছি। ইতিমধ্যে বিধায়কের বাড়ির এলাকার পঞ্চায়েত দখল করেছি। যে কোনও দিন পঞ্চায়েত সমিতি দখল নিতে পারি। কাজেই পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেস ও সিপিএম জোট হয়েও জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই।
তবে স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, একসময় কংগ্রেস এবং আরএসপি দুজনেই সমান শক্তিশালী ছিল এখানে। তৃণমূলের ধাক্কায় এখন দুই শক্তিই ছারখার হয়ে গেছে। আর সিপিএমেরও সংগঠন দুর্বল। অবশ্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কংগ্রেসের সাহাবুদ্দিন মোল্লা দাবি করছেন, কয়েকদিন আগেও এখানে কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কর্মিসভায় প্রায় চার হাজার কর্মী উপস্থিত ছিলেন। সিপিএমের নওদা এরিয়া কমিটির সম্পাদক সৌমিক হোসেন বলেন, কংগ্রেসের এবং আরএসপির অনেকেই দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করছেন এবং অনেকেই ভয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন, তবুও ময়দান ছেড়ে যাব না। দুই নেতাই একই সুরে দাবি করছেন, স্বচ্ছভাবে পঞ্চায়েত ভোট হলে এলাকায় তৃণমূলকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
যদিও স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, গত বিধানসভা নির্বাচনের পরই নওদা ব্লকে কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের ভিত ভেঙে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা গেছে, ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ছটিই বর্তমানে তৃণমূলের দখলে। এমনকি জেলা পরিষদের তিনটি আসনের মধ্যে দু’টি এবং পঞ্চায়েত সমিতির ২৮টি আসনের মধ্যে ১৩টি তৃণমূলের দখলে। পালাবদলের নেতৃত্বে রয়েছেন কংগ্রেস ত্যাগী তরুণ নেতা মোশারফ হোসেন মণ্ডল। তিনি এলাকার হাওয়া গরম করে তুলেছেন নিয়মিতি মিটিং, মিছিল, খেলা, কৃষি মেলা করে। এখন তিনি পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত তবে এক সময় তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির স্নেহভাজন হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!