এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > জল্পনা বাড়িয়ে নবনির্মিত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু পুলিশের

জল্পনা বাড়িয়ে নবনির্মিত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু পুলিশের

জল্পনা বাড়িয়ে নবনির্মিত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা রজু পুলিশের,এবার মহিলা নিগ্রহের ঘটনায় সরগরম ঝাড়গ্রাম ব্লকের বাঁধগোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। অবাধে বালি তোলার প্রতিবাদ করতে গেলে স্থানীয় তৃণমূল নেতা কর্মীদের সঙ্গে তীব্র বচসা বাঁধে মহিলাদের। তার জেরেই বেধড়ক মারধোরের শিকার হতে হয় তাঁদের। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য বিপ্লব মান্না সহ আরো ১৪ জনের বিরুদ্ধে।উল্লেখ্য, বিপ্লব মান্না এবার ঝাড়গ্রাম ব্লকের বাঁধগোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামসুন্দরপুর সংসদ থেকে জয়ী হয়েছেন। ওদিকে,প্রশাসনের তরফ থেকে জানা গেছে ওই এলাকায় গ্রামের কংসাবতী নদীপাড়ে কোনো বৈধ খাদান-ই নেই। ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত সাধারণ জেলাশাসক টি বালাসুব্রক্ষণিয়মও বলেছেন একই কথা। এবং এরই সঙ্গে জানিয়েছেন যে,নদীর গতিপথ আটকে কোনো রাস্তাই রাখা যাবে না।

জেলা সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে,এদিন অবাধে বালি তুলতে দেখে নিষেধ করতে এগিয়ে আসে গ্রামবাসীরা। এরপর খাদান কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয়দের মধ্যে বালি তোলা নিয়ে সামান্য কথা কাটাকাটি থেকেই ভয়ানক গন্ডোগোল শুরু হয়। এরপরই হঠাৎ করে লাঠি,টাঙি,লোহার রড দিয়ে মহিলাদের উপর হামলা চালায় তৃণমূল নেতা কর্মীরা। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫ জন মহিলা সহ মোট ১০ জন গ্রামবাসী।

এদিকে লিখিত অভিযোগের পর পুলিশ সক্রিয় হয়েছে তদন্ত কর্মসূচিতে। এদিন ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়ার ওভারলোডেড দুটি বালি ভর্তি ট্রাক আটকে জেরা শুরু করে মানিকপাড়া বিটহাউসের পুলিশ। পুলিশের তরফ থেকে জানা গেছে,১৪ জনের নামে জামিনযোগ্য ধারার মামলা রুজু হয়েছে। তবে অভিযুক্তরা ফেরার হয়েছে। তাঁদেরই খোঁজ করছে পুলিশ।তবে বিপ্লববাবু তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণই ভিত্তিহীন বলে দাবী করছেন। এদিন জানালেন যে,তিনি যদি সত্যিই কোনো অন্যায় করে থাকেন তবে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কেস হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন তবে এখনো তাঁর কাছে আদালতের তরফ থেকে কোনো নোটিশ আসেনি। এ প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার রাঠোর অমিত কুমার বলেছেন, অভিযোগ এসেছে বলেই কেস হয়েছে  এবং এই ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন আবার তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেছেন যে, পুলিশ কার  নামে  কেস করেছেন এটা তাঁর জানা নেই। তবে দলীয় কর্মীদের বার্তা দিয়েছেন বালি বা পাথর খাদানের সঙ্গে যুক্ত না থাকতে। আর যদি কাউকে জড়িত পাওয়া যায় তবে দলই আলোচনা করে সে বা তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!