এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করা CBI-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লালবাজারে চাপ সৃষ্টি তৃণমূলের?

নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করা CBI-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লালবাজারে চাপ সৃষ্টি তৃণমূলের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের সিআইডি বনাম কেন্দ্রের সিবিআই নিয়ে দড়ি টানাটানি নতুন কিছু নয়। তবে তৃতীয় বার সদ্য ক্ষমতায় আসা তৃণমূল সরকারের দুই মন্ত্রী এবং এক বিধায়ককে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করার পরেই এবার পাল্টা সিবিআইকে চাপে রাখতে তৃণমূল দ্বারস্থ হল লালবাজার পুলিশ কর্তৃপক্ষ কাছে । যেখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে লালবাজারে অভিযোগ দায়ের করে সিবিআইকে চাপে ফেলার কৌশল গ্রহণ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। যে ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বস্তুত, আজ সকালে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়ি গিয়ে তাকে আটক করা হয়। অন্যদিকে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। আর এরপর থেকেই অধ্যক্ষের অনুমতি না নিয়ে কিভাবে বিধানসভার তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর যেভাবে তিনজন জনপ্রতিনিধিকে গ্রেফতার করা হল, এবার তা নিয়ে পাল্টা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চাপ বাড়ানোর রাস্তায় হাঁটল রাজ্যের শাসক দল।

সূত্রের খবর, সিবিআই এদিন গ্রেপ্তার পর্ব শুরু করতেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে লালবাজার একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। যেখানে লালবাজারে 2 পাতার একটি চিঠি লেখে অভিযোগ দায়ের করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মূলত, সিবিআইয়ের পাশাপাশি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সেই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে। গোটা ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

জানা গেছে, চিঠিতে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য লেখেন, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের মদতে সিবিআই রাজ্যের মন্ত্রী এবং বিধায়কদের গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। রাজ্যপাল এই কাজ কিভাবে করতে পারেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে পাশাপাশি তৃণমূলের পক্ষ থেকে দলের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের নারদা কান্ডের জন্য গ্রেপ্তার করা হলেও, কেন ভিডিও ফুটেজে টাকা নিতে দেখা যাওয়া বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না, সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ গোটা ঘটনায় এবার পাল্টা লালবাজারে অভিযোগ জানিয়ে কেন্দ্রের শাসকদলের পাশাপাশি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান এবং সিবিআইকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলে দিল তৃনমূল কংগ্রেস বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতি যে ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হতে শুরু করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একাংশ বলছেন, সদ্য তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে তৃনমূল কংগ্রেস। আর মন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই যেভাবে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হলেন পরিবহন মন্ত্রী এবং পঞ্চায়েত মন্ত্রী, তা কার্যত বেনজির বলেই মনে করা হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে নারদকান্ডে দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী, এক বিধায়ক এবং এক প্রাক্তন মন্ত্রীর গ্রেপ্তার নিঃসন্দেহে শাসকদলের কাছে অস্বস্তির কারণ। তবে এই গোটা ঘটনা প্রথম থেকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চক্রান্ত বলে দাবি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার জেরে সিবিআই ও কেন্দ্রীয় সরকারের চাপ বাড়িয়ে দিয়ে পাল্টা লালবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূলের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকার যখন সিবিআইকে দিয়ে রাজ্য সরকার এবং তার মন্ত্রিসভার অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন, তখন পাল্টা রাজ্য পুলিশকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করল রাজ্যের শাসক দল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!