এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > উপনির্বাচনের ভরাডুবির দায় মোদী-শাহের ঘাড়েই চাপানোর ভাবনা রাজ্য বিজেপির? বাড়ছে গুঞ্জন

উপনির্বাচনের ভরাডুবির দায় মোদী-শাহের ঘাড়েই চাপানোর ভাবনা রাজ্য বিজেপির? বাড়ছে গুঞ্জন


অদৃষ্টের কি নিষ্ঠুর পরিহাস! 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় মোদী ঝড়কে পাথেয় করেই 18 টি আসন দখল করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এই বিপুল আসনে জয়লাভ করে তৃণমূলকে কোণঠাসা করার পর বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, বিজেপি অধ্যক্ষ অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদির জন্যই এই জয় সম্ভব হয়েছে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের 6 মাস পেরোতে না পেরোতেই রাজ্যের বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি পর্যুদস্ত হওয়ায় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বঙ্গ বিজেপির একাংশ।

যেখানে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসা বিজেপি সরকারের অর্থনৈতিক মূলক সিদ্ধান্ত, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ব্যাংকের সুদের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া এবং এনআরসি ইস্যুকেই কাঠগড়ায় তুলছেন বঙ্গ বিজেপির ম্যানেজাররা। কিন্তু নিজেদের রণকৌশলের অভাবের কথা একবারও শোনা যাচ্ছে না সমালোচকদের গলায়। যা নিয়ে দলের মধ্যেই ব্যাপক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই বলছেন, 2019 সালে বিজেপি বাংলায় যে জয় পেয়েছে – তা বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের নয়, শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের কৃতিত্ব।

কিন্তু এবার যখন বিজেপি রাজ্যের 3 কেন্দ্রে হেরে গেল, তখন তারা কেন সেই জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করছেন! এক্ষেত্রে কি তাদের কোনো দোষ নেই! একাংশের মতে, বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের বোঝা উচিত ছিল, শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদিকে মুখ করে সব ভোটে জেতা যাবে না। বাংলার মতো জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে এবং সাফল্য পেতে গেলে ভালো মুখ এবং সাংগঠনিক শক্তিকে যে বৃদ্ধি করতে হবে, তা অনুধাবন করতে পারেনি গেরুয়া শিবির‌।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তার ফলেই তাদের এই পরাজয় ঘটেছে। তবে অনেকেই এই হারের জন্য কেন্দ্রীয় নীতিকে দায়ী করলেও, রাজ্য বিজেপির একাংশ বলছেন, এই হার তাদের কাছে আশীর্বাদ। কেননা লোকসভায় 18 টি আসন পেয়ে দলের অনেকেই আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে উঠেছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গিয়েছিল। অন্য দল থেকে নেতাকর্মীদের আগমনে দিনকে দিন দলীয় শৃঙ্খলার বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছিল ভারতীয় জনতা পার্টি।

তাই এই পরিস্থিতিতে দুই পা পিছিয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য যদি এক পা এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয় গেরুয়া শিবির, তাহলে তা তাদের পক্ষে অত্যন্ত মঙ্গলের বলে মনে করছে একাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্য দল থেকে নেতাকর্মীদের নিলেই হবে না। তাদের পরখ করে সুস্থ সংস্কৃতির ভিত্তিতে বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।

আর এই লড়াইয়ে মানুষের আস্থা জোগাতে পারলেই সমর্থন আসবে। সব মিলিয়ে রাজ্যের 3 বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি পর্যদুস্ত হওয়ার পর দলের একাংশ নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহর ওপর দায় চাপাতে চাইলেও বঙ্গ নেতৃত্বের নীতি যে অনেকাংশেই দায়ী, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!