এবার শিশুমৃত্যুর ঘটনায় অস্বস্তি বাড়ল বাংলার এই বিজেপি সাংসদের! ক্রমশ উঠছে প্রতিবাদের ঝড়! তৃণমূল পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজনীতি রাজ্য June 13, 2020 লকডাউনের কারণে ভিন রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকরা চরম সমস্যায় পড়েছিলেন। তবে সম্প্রতি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে স্পেশাল ট্রেন চালু করে সেই সমস্ত শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। কিন্তু এক্ষেত্রে বেশ কিছু অমানবিক ছবি ধরা পড়তে শুরু করেছে। সম্প্রতি কেরল থেকে ফেরার পথে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে পুরুলিয়ার এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। যারপরে রীতিমত আলোড়ন পড়ে যায় সর্বত্র। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে সেই শিশুর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে শাসকদলের নেতৃত্বরা। কিন্তু মর্মান্তিক এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নীরব পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতো। আর এই ঘটনাতেই সেই বিজেপি সাংসদের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন স্থানীয় মানুষজনেরা। কেন এত বড় স্পর্শকাতর’ ঘটনা ঘটে গেলেও বিজেপি সাংসদ চুপ রয়েছেন! তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে এলাকায়। সূত্রের খবর, এদিন বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতোর বাড়ির সামনে একাধিক প্ল্যাকার্ড হাতে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার যুবকরা নিঃশব্দ প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। যেখানে ইংরেজি ও বাংলায় সেই প্লাকার্ডে লেখা ছিল, “আওয়ার এমপি ইজ স্লিপিং, নো হর্ন প্লিজ।” “সাংসদ ঘুমোচ্ছেন, হর্ন বাজাবেন না।” পাশাপাশি সেই প্ল্যাকার্ডে 18 দিনের শিশুর মৃত্যুর বিচারের দাবি করেন সেই সমস্ত যুবকরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে সাংসদের বাড়ির সামনে বেশ কিছু মানুষের এই নিঃশব্দ প্রতিবাদ দেখে সাংসদের নিরাপত্তারক্ষীরা সেখানে আসলেও, প্রতিবাদীরা কোনো কথা বলেননি। কেন তাদের এইরূপ প্রতিবাদ? এদিন এই প্রসঙ্গে সেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফ থেকে তুষার অবস্তি বলেন, “শ্রমিক স্পেশালে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে রেল উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কিন্তু এই ঘটনায় আমাদের সাংসদ চুপ কেন?” তিনি রীতিমত ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “যখন থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে, তখন থেকে তাকে দেখাই যাচ্ছে না। জেলার পরিযায়ীরা ভিন রাজ্যে আটকে সমস্যায় ছিলেন। আর উনি দিল্লিতে ঘুমোচ্ছিলেন। আর এখন জেলায় এলেও তার ঘুম ভাঙ্গেনি। তাই আমরা তার বাড়ির সামনে হর্ন বাজাতে নিষেধ করেছি।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা শিশু মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপি সাংসদের বাড়ির সামনে নিঃশব্দ প্রতিবাদ করলেন, তাতে সেই বিজেপি সাংসদ অনেকটাই চাপে পড়ে গেলেন। বর্তমান অবস্থায় বিজেপি চাইছে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে। কেননা, আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচন হবে অনেকটা করোনা পরিস্থিতি ও আমপানের উপর নির্ভর করেই। কিন্তু সেদিক থেকে পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে যেভাবে মানুষের পাশে না থাকার অভিযোগ তুলে তাকে অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন স্থানীয় যুবকরা, তাতে বিজেপি এখানে অনেকটাই চাপে পড়ল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -