এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পঞ্চায়েত-লোকসভা ভোটে সাফল্য দেওয়া সভাপতি ও সদস্যদের ধরে রেখেই বিধানসভার পরিকল্পনায় বিজেপি

পঞ্চায়েত-লোকসভা ভোটে সাফল্য দেওয়া সভাপতি ও সদস্যদের ধরে রেখেই বিধানসভার পরিকল্পনায় বিজেপি

 

2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের বাংলা থেকে বিজেপি 18 টি আসনে জয়লাভ করেছিল। তবে লোকসভায় বিজেপি 18 টি আসন দখল করলেও, তা যে শুধুমাত্র বিজেপি হাওয়া এবং মোদি হাওয়াকে কেন্দ্র করে, তা বুঝতে বাকি নেই বঙ্গ বিজেপি নেতাদের। সংগঠনের উপর ভর করে নির্বাচনে না লড়লে যে সাফল্য আসবে না, তা লোকসভার পর সদ্যসমাপ্ত রাজ্যের বিধানসভা উপনির্বাচনে হারের মুখে পড়েও বিজেপির কাছে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

আর এমত একটা পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই মন্ডল সভাপতি নির্বাচন সহ সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক জেলার সভাপতি পরিবর্তন করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে যে সমস্ত সভাপতিদের নেতৃত্বে বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সাফল্য পেয়েছে, সেই সমস্ত সভাপতিদের রেখে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্য পেতে চায় গেরুয়া শিবির। যার মধ্যে অন্যতম জেলা হিসেবে পরিচিত পুরুলিয়া জেলা।

গত 2016 সালে এখানে বিজেপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী। তারপর 2018 র পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর, 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পুরুলিয়ায় ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল সেই বিদ্যাসাগরবাবুর নেতৃত্বে। ফলে সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক জেলায় বিজেপি সভাপতি পরিবর্তন করলেও, পুরুলিয়াতে বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীকে দ্বিতীয়বারের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। যা দেখে অনেকে বলছেন, বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী দলকে সাফল্য এনে দেওয়ার জন্যই তাকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে শিখন্ডী করে পুরুলিয়াতে লড়তে চায় ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 1998 সালে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে পুরুলিয়া জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে মোট 243 জন সদস্য জয়ী হয় বিজেপির। পরবর্তীতে 2013 সালে এই জেলায় আটজন সদস্য নিয়ে জয়ী হয় বিজেপি। তবে গত 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই পুরুলিয়া জেলায় ভালোমতো সাফল্য পায়নি ভারতীয় জনতা পার্টি।

তবে 2016 সালের জুন মাসে জেলার বিজেপির সভাপতি হিসেবে বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী দায়িত্ব নেওয়ার পরই পঞ্চায়েত এবং লোকসভায় দলকে সাফল্য পাওয়াতে সক্ষম হন তিনি। জানা যায়, গত 2018 সালের পঞ্চায়েত ভোটে এই জেলায় প্রায় 700 জনেরও বেশি জনপ্রতিনিধি বিজয়ী হয়েছেন। যার মধ্যে 10 জন সদস্য জেলা পরিষদের।

একইভাবে চারটি এবং আটটি পঞ্চায়েত সমিতিতে এগিয়ে থাকে ভারতীয় জনতা পার্টি। রঘুনাথপুর 2 পঞ্চায়েত সমিতিতে একক ভাবে ক্ষমতা দখল করে তারা। আর এরপরই গত লোকসভা নির্বাচনে প্রায় দুই লক্ষের বেশি ভোটে পুরুলিয়ায় বিজেপি প্রার্থীকে জয়লাভ করাতে সক্ষম হন জেলা বিজেপির সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী। ফলে বিদ্যাসাগরবাবু দলের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই যেভাবে পুরুলিয়া জেলায় সংগঠনকে চাঙ্গা করেছেন এবং তার ফলেই যে সাফল্য এসেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

আর তাই 2016 সালে দায়িত্ব পাওয়া বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী 2019 সালে দ্বিতীয়বারের জন্য সভাপতি থাকবেন কিনা, তা নিয়ে নানা মহলে নানা জল্পনা চলছিল। তবে শেষ পর্যন্ত পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা পর্যন্ত তিনি যেভাবে দলকে সাফল্য পাইয়ে দিয়েছেন, তাতে তার উপর ভরসা করেই আগামী বিধানসভায় পুরুলিয়াতে সাফল্য পাওয়ার জন্য তাকেই দ্বিতীয়বারের জন্য সভাপতি করল বঙ্গ বিজেপি।

তবে 2021 সালে বিধানসভা নির্বাচনে কি পুরুলিয়া জেলায় তিনি দলকে সাফল্যের মুখ দেখাতে পারবেন! কেননা লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেস পর্যদুস্ত হওয়ার পর এখন “দিদিকে বলো” কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মানুষের কাছে যেতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। তাই সেদিক থেকে তৃণমূলের এই জনসংযোগ কর্মসূচিতে বিদ্যাসাগরবাবুর উপর ভরসা রাখলেও, বিজেপিকে কি খুশি রাখতে পারবেন বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী!

এই প্রসঙ্গে সেই বিদ্যাসাগরবাবু বলেন, “তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে। 2021 সালের আগে খানিকটা সময় রয়েছে। তবে আগে জেলায় সংগঠন ঢিলেঢালা ছিল একথা সত্যি। বর্তমানে পুরুলিয়া জেলার সংগঠন কংক্রিটের ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। সাধারণ মানুষের পাশে থাকার মাধ্যমে বিধানসভা ভোটে সাফল্য আসবে।” বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্বিতীয়বার দল তার ওপর দায়িত্ব দিয়ে পুরুলিয়া জেলায় সাফল্য পেতে চাইছে। তবে শেষ পর্যন্ত 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী কতটা সাফল্য পান! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!