এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > পঞ্চায়েত ভোট শেষ হতেই বড় পদক্ষেপ শুভেন্দুর , কমিশনের দপ্তরে ব্যাপক শোরগোল !

পঞ্চায়েত ভোট শেষ হতেই বড় পদক্ষেপ শুভেন্দুর , কমিশনের দপ্তরে ব্যাপক শোরগোল !


 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কমিশনের আশ্বাস, কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাজ্য পুলিশ থাকলেও দিনের শেষে ফের প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন। একের পর এক মানুষের মৃত্যু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অপদার্থতাকে সামনে এনে দিয়েছে। বিরোধী দলনেতার বক্তব্যে সীলমোহর দিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছে, এই রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোট সামলাতে কার্যত ব্যর্থ। নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই বিভিন্ন বুথে অশান্তির খবর পেয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে সোচ্চার হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এমনকি বিকেলে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, ছটার পরে তিনি কমিশনের দপ্তরে গিয়ে তালা ঝুলিয়ে আসবেন। অবশেষে যেমন কথা, তেমন কাজ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। ভোট পর্ব যখন সমাপ্ত হতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই কমিশনের দপ্তরে গিয়ে গেটে তালা ঝুলিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দিনভর রক্তাক্ত হয়েছে রাজ্য। প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর নির্বিকার থেকেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আর সেই বিষয় নিয়েই অতীতের মতোই প্রশ্ন তুলে কমিশনকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোষ্য বলে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছিলেন, সন্ধ্যেবেলা তিনি নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে যাবেন। অবশেষে সন্ধ্যেবেলা কমিশনের দপ্তরে গিয়ে গেটে প্রতীকি তালা ঝুলিয়ে প্রতিবাদ জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে এই নির্বাচন কমিশন যে কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেননি এবং বিরোধী দল হিসেবে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য যে তারা প্রতিবাদ করবেন, শেষ মুহূর্তে কমিশনের দপ্তরে গিয়ে তা বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

তবে অনেকে আবার প্রশ্ন করছেন, শেষ মুহূর্তে এই প্রতিবাদ করে কি হবে! যা হওয়ার তা তো হয়েই গেল, গণতন্ত্র প্রহসনে পরিণত হলো, একের পর এক মানুষের মৃত্যু হল, আর চুপ করে সেই মৃত্যুলীলা দেখল রাজ্য এবং নির্বাচন কমিশন! এক পক্ষের যুক্তি, প্রতিবাদ করে অন্তত শুভেন্দুবাবু বুঝিয়ে দিলেন যে, তিনি এই মৃত্যুর জন্য রাজ্য এবং নির্বাচন কমিশনকে ছেড়ে কথা বলবেন না। শুভেন্দু অধিকারীর বডি ল্যাঙ্গুয়েজের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, সহ নাগরিকের মৃত্যু তিনি একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না। কাছের মানুষ মারা গেলে যেমন অন্তর কেঁদে ওঠে, ঠিক তেমনই গণতন্ত্রের এই উৎসবে প্রচুর মানুষের মৃত্যুতে শুভেন্দু অধিকারীও যে অত্যন্ত ব্যথিত এবং সেই ব্যথা থেকেই যে তিনি কমিশনের দপ্তরে উপস্থিত হয়ে রণংদেহি মেজাজ ধারণ করেছেন, তা স্পষ্ট। তবে বিরোধী দলনেতা হিসেবে যতটুকু করা যায়, সবটাই করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এখন এত কিছুর পরেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ঘুম ভাঙবে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!