বাধা দিলে বাধবে লড়াই, মরতে হবে – বিজেপিকে চরম হুঁশিয়ারি পার্থ চ্যাটার্জির রাজ্য April 28, 2018 “গাঁটওয়ালা বাঁশ নিয়ে ভোটের দিন গ্রামের এ মাথায় এবং ও মাথায় পাঁচ জন করে বসবেন। ভোটের দিন বাইরের কোনও লোক ঢুকলে লাঠির বাড়ি মারবেন! মারপিট করে যে রকম ভাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছি, দরকারে সে রকম ভাবে মারপিট করে ভোট আদায় করব।” এদিন ঝাড়গ্রামের কর্মীসভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন । আর এদিন তৃণমূল ভবনে বসে পাল্টা হুমকি দিয়েছেন শাসক দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।তিনি বলেন ” বাধা দিলে বাধবে লড়াই, মরতে হবে!” আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদল ও বিরোধীদের হুমকি ও পাল্টা হুমকিতে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশ যেভাবে উত্তপ্ত হচ্ছে তাতে ভোটের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে।বাম এবং কংগ্রেসও এই অশান্তির বাতাবরণের জন্য শাসকদলকেই দায়ী করেছেন। তাঁরা অভিযোগে আরো জানান যে শাসকদল বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত গড়ার ডাক দিয়ে আগেই নির্বাচনকে ‘প্রহসনে’ পরিণত করেছেন। এমনিই সামান্য জায়গায় ভোট হবে তার উপর পার্থবাবুর মন্তব্যে তাঁদের আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হতে চলেছে বলে তাঁদের দাবী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর প্রশ্ন, বিরোধীরা বাধা দেওয়ার জায়গায় আছে কোথায়? নেই। আর বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী এ ব্যাপারে বলেছেন ”তৃণমূল তো গণতন্ত্রে বিশ্বাসই রাখে না।”তৃণমূল বারবারই দাবিতে বলেছে তাঁদের কর্মীরা সংযত।তাঁর প্রমাণ তাঁদের চার কর্মীর খুন। পার্থবাবু এ দিনও বলেন, ”কোনও রকম বিবাদে না জড়াতে দল যে নির্দেশ দিয়েছে, তা কর্মীরা অমান্য করবে না বলেই বিশ্বাস।” অশান্তির দায় এড়াতেই তৃনমূল এসব মন্তব্য করছে, এমনটাই দাবী বিরোধীদের। আপনার মতামত জানান -