এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বিধানসভার আগে প্রবল হচ্ছে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ

বিধানসভার আগে প্রবল হচ্ছে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আরো একবার প্রকাশ্যে এসে পড়ল গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আসতে চলেছে একুশের অতি প্রতীক্ষিত বিধানসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের দিকেই তাকিয়ে এখন ঘর গোছাতে ব্যস্ত বাংলার প্রতিটি রাজনৈতিক দল। অথচ এই সময়ে একের পর এক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা প্রকাশ পাচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির। এবং যত দিন যাচ্ছে, ততই এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরো তীব্রভাবে প্রকট হচ্ছে।অনেকেই মনে করছেন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই দল ছেড়ে অনেকে চলে যাচ্ছেন শাসক দলে।

তীব্র অশান্তির কারণেই ক্রমশ ফিকে হয়ে যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের জোরালো সংগঠনের দাবী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বরাবরই নদিয়ায় গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীকোন্দল সর্বজনবিদিত। নির্বাচন এগিয়ে এলেই এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরো তীব্র ভাবে প্রকাশ হয়ে পড়ে। এবারেও সেই একই ছবি দেখা গেল নদীয়া জেলায়। বুধবার রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের উপস্থিতিতে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন এলাকার নিচুস্তরের কর্মীরা। এই দলে যেমন কৃষ্ণনগর শহরের বিজেপি কর্মীরা ছিলেন, ঠিক তেমনই ছিলেন তেহট্ট এলাকার বিজেপি কর্মীরা।

তাঁরা অভিযোগ জানায়, দলের নিচু স্তরের কর্মীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না জেলার নেতারা। সম্প্রতি নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার 35 জন মণ্ডল সভাপতির মধ্যে 28 জনই বর্তমান জেলা সভাপতি আশুতোষ পালের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে রাজ্য নেতৃত্ত্বের কাছে নানান অভিযোগ জানিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এবার নিচুতলার কর্মীরাও সেই একইভাবে অভিযোগ জানালেন বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন জেলার মন্ডল সভাপতিদের সাথে সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী ও সহ-সভানেত্রী তথা নদীয়া জেলার সাংগঠনিক পর্যবেক্ষক মাফুজা খাতুন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, জেলা কার্যালয়ে তাঁদের বৈঠক শেষ হওয়ার পরেই তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে চান এলাকার নিচুস্তরের কর্মীরা। কিন্তু তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। সেসময় শুরু হয় গন্ডগোল। এই গন্ডগোলের মধ্যেই আবার কৃষ্ণনগর ঘূর্ণি এলাকা থেকে আসা ওবিসি সেলের জেলা কমিটির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অলক দেবনাথ সহ অন্যরা অভিযোগ করেন, মন্ডল সভাপতিরা তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত করে দলের পুরনো নেতাকর্মীদের সাইডে সরিয়ে দিচ্ছেন। এরসঙ্গে তাঁরা আরও জানিয়েছেন, জেলা সভাপতিকে বারবার বলেও কোন কাজ হচ্ছে না। পাল্টা জেলা সভাপতি আশুতোষ পাল জানিয়েছেন, এরকম কিছু ঘটেনি।

অন্যদিকে এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি দলের নদিয়া দক্ষিণ জেলা সভাপতি অশোক চক্রবর্তী তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁদের পরবর্তী কর্মসূচি ‘গণতন্ত্র বাঁচাও, বাংলা বাঁচাও’ ঘোষণা করেছেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞদের দাবী, বিভিন্ন জেলায় গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকারান্তরে তাঁদের সাংগঠনিক জোর আলগা করে দিচ্ছে। আগামী দিনের নির্বাচনী লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য গেরুয়া শিবিরের সর্বাগ্রে এই দিকে নজর দেওয়া উচিত। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত,গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব যেভাবে জেলায় জেলায় বেড়ে চলেছে তা কিন্তু গেরুয়া শিবিরকে এই মুহূর্তে ফেলছে চূড়ান্ত অস্বস্তির মুখে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!