এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে এখন খেলা ফিফটি-ফিফটি, চিন্তার ভাঁজ শাসক শিবিরের!

পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে এখন খেলা ফিফটি-ফিফটি, চিন্তার ভাঁজ শাসক শিবিরের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 সালের নির্বাচনের ফলাফল কি হতে চলেছে, হালফিলালে ধন্দে রয়েছে বাংলা থেকে শুরু করে ভারতবর্ষের নির্বাচনী রননীতিকারেরা। একদিকে যেমন অনেক সমীক্ষক মন্ডলী ইঙ্গিত দিচ্ছে, বিধানসভার লড়াই জোরদার হলেও শেষ হাসি তৃণমূল হাসতে পারে, আবার অন্যদিকে আরেক দলের মতে, পশ্চিমবঙ্গের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসবে ভারতীয় জনতা পার্টি।

পরিস্থিতি এমনই যে এমন বড় বড় সংবাদমাধ্যমকে তিন থেকে চারবার করে ওপিনিয়ন পোল প্রকাশ করতে হচ্ছে। আর তাতেও শেষ কিনারা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে 2020 সাল থেকে শুরু করে 21 সালের প্রথমার্ধ পর্যন্ত যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে করে ইতিমধ্যেই পাল্টে গিয়েছে 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের চিত্রটা।

পশ্চিমবঙ্গের 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ব্যাপক উত্থান ঘটলেও, 18 টি আসন লাভ করে ভারতীয় জনতা পার্টি। অন্যদিকে 22 টি আসন লাভ করে। কোনোরকমে দুটি আসন পেয়ে অস্তিত্বে প্রাণে বাঁচে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। কিন্তু প্রথমদিকে চারটি আসন এগিয়ে থাকলেও বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের মতনই ফিফটি ফিফটি জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে দুটি দলের সাংসদ সংখ্যা।

অনেক আগেই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন সুনীল মণ্ডল। আর দুদিন আগে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেছেন শুভেন্দু অধিকারীর পিতা তথা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। আর যার ফলেই পাল্টে গিয়েছে তৃনমূলের সাংসদ সংখ্যা। আগে যে তৃণমূলের কাছে 22 টি সাংসদ ছিল, বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে কুড়িতে। আবার যে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে 18 টি সাংসদ ছিল, তারা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 20 তে। এবারে লড়াইটা সাংসদের নিরিখেও ফিফটি ফিফটি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বিজেপির একাংশ বলছেন, 2021 সালের পটভূমিতে দাঁড়িয়ে প্রথমার্ধের লড়াইটা ফিফটি-ফিফটি থাকলেও, শেষ হাসি কিন্তু হাসবে ভারতীয় জনতা পার্টি। কারণ বর্তমানে সাংসদের নিরিখে যতই তৃণমূল কংগ্রেস এবং ভারতীয় জনতা পার্টি সমান সমান থাকুক না কেন, রামনবমীর আগে নিজের বাড়িতে সম্পূর্ণরূপে পদ্মফুল ফোটাবেন বলে ঘোষণা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

আর তা যদি সত্যি হয়, তাহলে খুব শীঘ্রই ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করবেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। আর তাহলেই তৃণমূল কংগ্রেসের আসন সংখ্যা কমে দাঁড়াবে 19 টিতে। আবার ভারতীয় জনতা পার্টির আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে 21 এ। যা তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে দুটি আসন বেশি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রত্যয়ের সুর দেখা যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে।

তবে তৃণমূলের একাংশের মতে, নির্বাচনে না যেতেই সে দলত্যাগ করে অন্য দলে যোগদান করলেই তাদের সাংসদ বলা যায় না। তাই আসল পরিনাম দেখতে হলে অপেক্ষা করতে হবে 2 মে পর্যন্ত। তাই খেলা হবে না খেলা শেষ হবে, ফিফটি-ফিফটি অবস্থানে রয়েছে গোটা পরিস্থিতি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!