এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > এবার কি বড়সড় বিপদের মুখে বিমল গুরুং? কি নির্দেশ দিলেন নির্বাচন কমিশনার?

এবার কি বড়সড় বিপদের মুখে বিমল গুরুং? কি নির্দেশ দিলেন নির্বাচন কমিশনার?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবারের নির্বাচনে পাহাড়ে অন্য খেলা। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পক্ষ থেকে বিমল গুরুং এবং বিনয় তামাং উভয়েই প্রার্থী দিয়েছেন। অর্থাৎ পাহাড়ে একই দলের দুই ব্যক্তি প্রার্থী হয়েছেন তিন জায়গায়। অর্থাৎ জনমুক্তি মোর্চার মোট 6 জন প্রার্থী রয়েছেন পাহাড়ে। এই অবস্থায় বিপাকে পড়তে চলেছেন এবার বিমল গুরুং বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন যাবৎ ইউপিএ ধারায় মামলা চলছে বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি সেই প্রশ্ন এবার তুললেন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার সুনীল আরোরা। খুব স্বাভাবিকভাবেই মুখ্য নির্বাচনী কমিশনারের এই প্রশ্ন পাহাড়ে তৃণমূলকে চাপে ফেলতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ রাজ্যের পুলিশ পর্যবেক্ষকের রিপোর্টের অপেক্ষা করা হচ্ছে, মিললেই নেওয়া হবে ব্যবস্থা। আজকে শিলিগুড়িতে বৈঠকে বসেছিল নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ। সেখানে উত্তরবঙ্গের আইনশৃংখলার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আইনশৃংখলা পরিস্থিতির পাশাপাশি তাঁদের আলোচনায় উঠে এসেছে বিমল গুরুং এর প্রসঙ্গ। এবং একই সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তোলা অভিযোগ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ভোটের মুখে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় এবং কর্পোরেশনের মাথা থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সরানোর নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।

সেই অনুযায়ী শিলিগুড়ির কর্পোরেশনের প্রশাসনিক বোর্ডের প্রধানের পদ থেকে যেমন অশোক ভট্টাচার্যকে সরানো হয়েছে, ঠিক তেমনি কলকাতা পৌরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের প্রধানের পদ থেকে সরানো হয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে। কিন্তু পাহাড়ে জিটিএ বোর্ডের প্রধানের পদ থেকে অনিত থাপাকে এখনো পর্যন্ত সরানো হয়নি? আর এই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে নির্বাচন কমিশন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যাবতীয় রিপোর্ট তলব করা হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে এবার অনিত থাপাকেও জিটিএ বোর্ডের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 2017 সালের পর থেকে বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়। কিন্তু প্রায় তিন বছর তিনি নিরুদ্দেশ ছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কানাঘুষো শোনা যায়, বিমল গুরুং গেরুয়া শিবিরের ছত্রছায়ায় ছিলেন এতদিন। আর সে কারণেই মামলা থাকা সত্বেও বিমল গুরুংকে গ্রেফতার করা যায়নি। কিন্তু গত বছর পুজোর সময় কলকাতায় এসে বিমল গুরুং গেরুয়া শিবিরের ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেন এবং বলেন, পাহাড়ে এবং ডুয়ার্সে যাতে তৃণমূল ভালো ফল করতে পারে সেই চেষ্টা তিনি করবেন। পরবর্তী সময়ে সংবাদ মাধ্যমে জানা গিয়েছে, বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে যাবতীয় মামলা প্রত্যাহার করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এবার ভোটের মুখে নির্বাচন কমিশনার প্রশ্ন তুললেন, কেন বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে মামলা থাকা সত্ত্বেও গ্রেপ্তার করা হয়নি তাঁকে?

এ ব্যাপারে মুখ্য সচিব এবং এডিজি আইন-শৃঙ্খলা জগমোহনের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্স করে আলোচনা করেন সুনিল আরোরা। মনে করা হচ্ছে, ভোটের আগে যদি বিমল গুরুংকে গ্রেফতার করা হয় কমিশনের নির্দেশে, তাহলে পাহাড় এবং ডুয়ার্সে বড়োসড়ো চাপের মুখে পড়তে চলেছে তৃণমূল। অন্যদিকে অবশ্য পাহাড়ে আগে থেকেই তৃণমূলের বন্ধু বিনয় তামাং রয়েছেন। তিনিও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অন্যতম নেতা। বিমল গুরুং পাহাড়ে উঠে আসায় তামাং এবং গুরুংয়ের দুটি গোষ্ঠী বিভক্ত হয়ে গেছে। এবারের নির্বাচনে দুই গোষ্ঠীই কিন্তু তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করেছেন। এই অবস্থায় তৃণমূল চাপে পড়লেও সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে যে খুব একটা বিশেষ অসুবিধা হবেনা, সে কথা এক বাক্যে মেনে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!