এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাকে আরও কঠোর করতে ভোটের আগে বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে কমিশন- ইঙ্গিত পেয়ে আপত্তির চিঠি শাসক শিবিরের

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাকে আরও কঠোর করতে ভোটের আগে বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে কমিশন- ইঙ্গিত পেয়ে আপত্তির চিঠি শাসক শিবিরের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন করাতে গিয়ে নির্বাচন কমিশন একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছে। এই নিয়ে অবশ্য সমালোচনাও কম হচ্ছেনা। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে মেনে নিলেও তৃণমূলের অন্দরে কিন্তু কমিশনের নির্দেশ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের কথা শোনা যাচ্ছে। এবারই প্রথম বাংলার নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আসা হয়েছে।

 শাসকমহল থেকে এমনিতেই বলা হচ্ছে বিরোধী দল বিজেপির সুবিধা করে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন সর্বক্ষেত্রে। আর আবারও সেই রকমই অভিযোগ ওঠার পরিস্থিতি তৈরি হল। সূত্রের খবর, বাংলায় ভোট পরিচালনার জন্য এবার উত্তর প্রদেশ থেকে 30 কোম্পানি পুলিশবাহিনী আনতে পারে নির্বাচন কমিশন।

আর এই খবরের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্রই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সোজা কমিশনের কাছে আগেভাগেই দরবার করা হলো। সূত্রের খবর, শাসক দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বাংলার নির্বাচনে বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশ থেকে পুলিশ আনলে তার সুযোগ অবশ্যই নেবে বিজেপি। কারণ উত্তরপ্রদেশে যেহেতু বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী, সেখানকার পুলিশ এ রাজ্যে বিজেপির হয়েই কাজ করবে।

 তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ান এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন কমিশনে। নির্বাচন কমিশনকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে অন্য যেকোন অবিজেপি রাজ্য থেকে পুলিশ নিয়ে আসতে পারে কমিশন কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকে পুলিশ এলে অবশ্যই এরাজ্যে পক্ষপাতিত্ব হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

উত্তর প্রদেশ থেকে পুলিশের আগমন নিয়ে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করার অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভোটের মুখে কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের সরকারি ক্ষমতা ব্যবহার করা যাবেনা।

কিন্তু কেন্দ্র ঠিক তার উল্টোটা করছে। তাঁরা নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে তৃণমূল নেতা বা প্রার্থী বা মুখপাত্রদের বহু বছর ধরে ঝুলে থাকা মামলায় অকারণে ডেকে পাঠাচ্ছে। কিন্তু একই মামলা বা একই ধরনের মামলায় জড়িত বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো রকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা।

শুধু তাই নয়, তৃণমূল অভিযোগ জানিয়েছে এ রাজ্যে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং নীতিন গড়কড়ির মতো মন্ত্রীরা নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। সব মিলিয়ে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ আসা নিয়ে জোরদার আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। খুব স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের যুক্তিকে মোটেই অস্বীকার করা যাচ্ছে না বলে মত অনেকেরই। এই অবস্থায় দেখার, তৃণমূলের অভিযোগ পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন কি অন্য কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে?

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!