এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > হিন্দি বলয়ে কি নরেন্দ্র মোদীর “আচ্ছে দিনের” স্বপ্ন ধূলিসাৎ হতে চলেছে?

হিন্দি বলয়ে কি নরেন্দ্র মোদীর “আচ্ছে দিনের” স্বপ্ন ধূলিসাৎ হতে চলেছে?


আসন্ন দেশের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফলই নাকি বলে দেবে যে, আগামী লোকসভা নির্বাচনে দেশের মসনদ ঠিক কোন রাজনৈতিক দল দখল করতে চলেছে! কংগ্রেস নাকি বিজেপি কোন রাজনৈতিক দল এই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে দাগ কাটবে এবার তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংস্থার তরফে করা হচ্ছে সমীক্ষাও। আর এই সমীক্ষায় আশ্চর্যজনকভাবে রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড়ের মত রাজ্যগুলিতে জেতার সম্ভাবনা প্রকট হিসেবে দেখা দিচ্ছে কংগ্রেসের ক্ষেত্রে। আর এখানেই কার্যত এখন ঘুম ওড়ার জোগাড় গেরুয়া শিবিরের।

কংগ্রেস শাসিত মনিপুর এবার বিজেপির হতে চলেছে বলে সমীক্ষায় দাবি করা হচ্ছে। যে বিজেপির নেতারা প্রায়শই দাবি করতেন যে, 19 টি রাজ্যে তাদের সরকার রয়েছে। সেখানে নির্বাচনের আগেই এক সমীক্ষায় পাঁচ রাজ্যের মধ্যে চার রাজ্যের কর্তৃত্বই তাদের হাত থেকে চলে যাবার সম্ভাবনায় এখন প্রবল চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মোদী-শাহ জুটির কপালে। কি বলছে এই সমীক্ষা?

সূত্রের খবর, সি ভোটারের সমীক্ষায় দেখা গেছে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে 38.7 শতাংশ মানুষের সমর্থন রয়েছে সেখানকার কংগ্রেস সভাপতি শচীন পাইলটের দিকে। যেখানে বিজেপি’র বসুন্ধরা পেয়েছেন মোটে 22.7 শতাংশ ভোট। এদিকে গত অগাস্টে এই সি ভোটারের সমীক্ষায় যেখানে এই রাজস্থানে বিজেপির পক্ষে 14 শতাংশ ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল, সেখানে সাম্প্রতিক সমীক্ষায় তা কমে দাঁড়িয়েছে 8 শতাংশে।

অনেকে মনে করছেন, রাজস্থানে কংগ্রেসের শচীন পাইলট এবং গেহলটের মধ্যে ঐক্য থাকলেও বিজেপির নেতাদের মধ্যে তেমন ঐক্য নেই। আর তাই টিকিট বন্টন নিয়ে ভোটেই শুরুতেই তাদের মধ্যে প্রবল বিবাদ বাধতে পারে।এদিকে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সমীক্ষায় দেখা গেছে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে 41.6 শতাংশ মানুষের পছন্দ হলেও শিবরাজ চৌহানের দিকে সমর্থন রেখেছেন 37.4 শতাংশ মানুষ। আর এখানেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, শেষ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া তুলে এই রাজ্যেও বাজিমাত করতে পারে হাত শিবির।

অন্যদিকে ছত্রিশগড়ের গত রাজ্যে গত অগাস্টে সমীক্ষা করে এই “সি ভোটার” কংগ্রেস এবং বিজেপির ভোটের ব্যবধান 0.2 শতাংশ দেখালেও নভেম্বরের সমীক্ষায় তা বেড়ে হয়েছে 12 শতাংশের কাছাকাছি। এখানে এবার কংগ্রেসের পক্ষে লড়াই করা কঠিন হলেও জোর টক্কর হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে রাজনৈতিক মহল।

কেননা অজিত যোগীর অনুগামীরা এবার কংগ্রেস ছেড়ে দেওয়ায় অনেকটাই চাপে পড়েছে হাত শিবির, অন্যদিকে রামন সিংকে মুখ্যমন্ত্রী পদে চেয়ে সমীক্ষায় 36.2 শতাংশ মানুষ সমর্থন করেছেন। তবে যাই হোক না কেন শেষ পর্যন্ত এই রাজ্যের তিনটি অঞ্চলে সাফল্য পেতে পারে কংগ্রেস বলে দাবি করছে সমীক্ষা।

অন্যদিকে তেলেঙ্গানায় কংগ্রেস-টিডিপি জোটের বিরুদ্ধে কেসিয়ার লড়লেও সেই সমীক্ষায় দেখা গেছে, কংগ্রেস-টিডিপি জোট এগিয়ে রয়েছে 4.5 শতাংশে। তবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেসিআরের প্রার্থীকেই সমর্থন করেছেন 42.9 শতাংশ মানুষ।

অন্যদিকে কংগ্রেসের জনা রেড্ডি পেয়েছেন 22.6 শতাংশ ভোট। তবে এত সব রাজ্য এবার কংগ্রেসের জন্য আশাজনক হিসেবে দেখালেও মিজোরাম হাতছাড়া হতে পারে কংগ্রেসের বলে দাবি করছে এই সমীক্ষা। জানা গেছে, এবার এখানে ত্রিমুখী লড়াই হচ্ছে।

একদিকে এমএনএস, অন্যদিকে জেডপিএম আর অপরদিকে কংগ্রেস। সমীক্ষা বলছে, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কংগ্রেসের লালথানহাওলা এগিয়ে থাকলেও এমএনএস এবং জেডপিএমকে নিজেদের দিকে টেনে নিয়ে এখানে সরকার গড়তে পারে বিজেপি। আর “সি ভোটারের” এই সমীক্ষা দেখেই রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, তাহলে কি লোকসভা ভোটের আগে দেশজুড়ে উধাও হয়ে যাচ্ছে বিজেপির আচ্ছে দিনের প্রতিশ্রুতি?

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে যদি “সি ভোটারের” এই সমীক্ষারই বাস্তব প্রতিফলন ঘটে তাহলে যে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অনেকটাই ভগ্নদশা হতে পারে গেরুয়া শিবিরের সে ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত প্রত্যেকেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!