এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > কংগ্রেসকে এবার কড়া হাতে শাসনের নিদান দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী বিজেপি সাংসদদের, বাড়ছে চাঞ্চল্য

কংগ্রেসকে এবার কড়া হাতে শাসনের নিদান দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী বিজেপি সাংসদদের, বাড়ছে চাঞ্চল্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই পেগাসাস বিতর্ক সামনে রেখে কংগ্রেস গেরুয়া শিবিরকে কোণঠাসা করতে উদ্যত। গত সপ্তাহে প্রায় দিনই সংসদের অধিবেশন মুলতবি করতে হয়েছে। এই অবস্থায় সোমবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেখানেও কংগ্রেস অংশগ্রহণ করেনি। আর এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাল্টা বিজেপির সাংসদদের নির্দেশ দিলেন, কংগ্রেসের মুখোশ খুলে দেবার জন্য জনসাধারণের সামনে। কার্যত প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সংসদে অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছে কংগ্রেস। ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কাজ হতে দিচ্ছেনা। কার্যত শোনা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কয়েকটি বিল নিয়ে এসেছে যা বাদল অধিবেশনের হাত ধরে পাস করার পরিকল্পনা ছিল।

কিন্তু সেখানে বাদ সাধছে সংসদের অচলাবস্থা। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, কংগ্রেস নিজেরা যেমন কোনো কিছুতেই অংশগ্রহণ করছেনা, সেরকম অন্যান্য দলকেও বৈঠকে আসতে বাধা দিচ্ছে। সোমবার অচলাবস্থা কাটানোর জন্য সরকার বিরোধীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেন এবং সেখানে বিরোধীরা নতুন দুটি দাবি জানিয়েছে পেগাসাস বিতর্কে। বিরোধীদের প্রথম দাবী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ইস্তফা দিতে হবে। দ্বিতীয়টি হল, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত চালাতে হবে। কার্যত এই দুটি দাবি যে কোনোমতেই বিজেপি মানবেনা সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। পাশাপাশি পেগাসাস নির্মাতা ইজরায়েলি সংস্থা জানিয়েছে, তাঁরা শুধুমাত্র দেশের সরকারকেই এই স্পাইওয়্যার বিক্রি করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সে জায়গায় এটা নিশ্চিত যে এ দেশে স্বরাষ্ট্রসচিবের অনুমতি ছাড়া এই  স্পাইওয়্যার কেউ ব্যবহার করতে পারবেনা। কার্যত জানা যাচ্ছে, এই স্পাইওয়্যার কেনার এবং ইন্সটল করার খরচ অতিরিক্ত। পাশাপাশি এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করতে গেলে আইটি আইন মেনেই করতে হবে। সেখানেও প্রশ্ন উঠেছে মোদি সরকার কি তাহলে নিজেই এই স্পাইওয়্যার কিনে ব্যবহার করেছিল আড়িপাতায়? কার্যত প্রথম ফোনে আড়িপাতার বিষয়টি সামনে আসে একটি ডেটাবেস লিক হয়ে যাওয়ায়। আর সেখানেই সরকার এবং বিরোধী পক্ষের একাধিক নেতা, মন্ত্রী, সাংবাদিক, আমলা, ব্যবসায়ী, মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী, শিল্পপতিসহ প্রায় 300 জনের ফোন নাম্বার পাওয়া যায়।

সন্দেহ শুরু হয় ফোনে আড়িপাতা নিয়ে। যদিও এই সংক্রান্ত কোনো নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে সরকার পক্ষের দাবি, পেগাসাস কাণ্ডের উৎপত্তি হয়েছে শুধুমাত্র মোদি সরকারকে বদনাম করার জন্য, এর পেছনে যুক্তিযুক্ত কোন প্রমাণ নেই। কিন্তু তাতে যে বিরোধীরা শান্ত হচ্ছেনা তা বলাইবাহুল্য। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদী যেভাবে তাঁর সাংসদদের এবার কড়া হাতে কংগ্রেসকে কোণঠাসা করার নির্দেশ দিয়েছেন, তা জাতীয় রাজনীতিতে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বলে বিবেচিত হচ্ছে। সুতরাং আগামী দিনে সংসদে কংগ্রেস ও বিজেপির চাপানউতোর যে বৃদ্ধি পাবে তা এককথায় বলা যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!