এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পেশায় শিক্ষক তৃণমূলের দাপুটে জনপ্রতিনিধি সহ পুরো পরিবারের নামেই রয়েছে জবকার্ড, শোরগোল রাজ্যে

পেশায় শিক্ষক তৃণমূলের দাপুটে জনপ্রতিনিধি সহ পুরো পরিবারের নামেই রয়েছে জবকার্ড, শোরগোল রাজ্যে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের আমলে শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন কিছু নয় বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে তো সেইজন্য তাদের কুকীর্তি সামনে আসতে শুরু করেছে। যার পর্দা ফাঁস করে সেই সমস্ত নেতাসহ জনপ্রতিনিধিদের শাস্তির দাবি করছে বিরোধীরা। আর এবার বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তথা তৃণমূলের দাপুটে নেতা মলয় মন্ডলের বিরুদ্ধে উঠল ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। জানা গেছে, এই মলয়বাবুর নামে 100 দিনের কাজের জব কার্ড 2005 সাল থেকে রয়েছে।

স্বাভাবিক ভাবেই তিনি একাধারে শিক্ষক এবং অন্যদিকে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা সহ বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি থাকা সত্ত্বেও কেন তার নামে একশো দিনের জব কার্ড রয়েছে! এখন তা নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বালুরঘাট ডকের জলঘর গ্রামের বাসিন্দা এই মলাই বাবু নামে 2005 সালে একটি জব কার্ড ইস্যু করা হয়েছিল কিন্তু 2006 সালে তিনি প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পান।

এখনও পর্যন্ত তার নামে সেই জবকার্ড থাকায় এবং তা সামনে চলে আসায় এখন রীতিমতো বিতর্ক দানা বাধতে শুরু করেছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তথা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতার নামে এই ধরনের জব কার্ড সামনে আসায় এই ঘটনায় সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় তদন্তের দাবি করেছেন তারা।

এদিন এই প্রসঙ্গে জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গোপাল মুর্মু বলেন, “আমি 2018 সালে পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। তার আগে কিভাবে মলয়বাবুর নামে জব কার্ড হয়েছে, তা জানি না। তবে তিনি কোনোদিন কাজ করেননি।” এদিকে এই ব্যাপারে আরএসপি নেত্রী সুচেতা বিশ্বাস বলেন, “আমার নামে কোথায় কি আছে তা আমি জানব না! এটা কখনও হয় নাকি! অনিয়মে ভরে গিয়েছে তৃণমূল।”

একইভাবে এই বিষয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিও। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা নীলাঞ্জন রায় বলেন, “সর্বত্র এভাবে অনিয়ম চলছে। ব্লক প্রশাসন এই কাজের সঙ্গে জড়িত।” এদিকে নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এই ধরনের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসায় এবং বিরোধীরা ময়দানে নামায় এখন ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছেন সেই তৃণমূল নেতা। তাহলে কি তার বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সত্যি!

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তৃণমূলের মলয় মন্ডল বলেন, “আমি এতদিন ধরে জানতেই পারিনি যে, আমার নামে জব কার্ড আছে! আমার হাতে এই সম্পর্কে কোনো কার্ড বা নথিপত্র দেওয়া হয়নি। গত অক্টোবর মাসের সময় এই কথা জানতে পেরে আমি পঞ্চায়েতের কাছে জবকার্ড বাতিল করে দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছি। আমার জব কার্ডের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করা নেই। আমার অ্যাকাউন্টে 100 দিনের কাজের কোনো টাকা ঢোকেনি। জানতে পেরেছি, আমার ভাই, মা, বাবার নামেও নাকি জব কার্ড রয়েছে। তবে আমার ভাই বেকার। তাই সে 100 দিনের কাজ করতেই পারে। আমি কোনো রকম অন্যায় সুবিধা নিইনি বা অনিয়ম করিনি। এসব বিরোধীদের চক্রান্ত। ওদের সঙ্গে আমাদের দলের কেউ কেউ হাত মিলিয়ে আমাকে ফাসাতে এই কাজ করেছে বলে মনে করছি।”

এদিকে এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। এদিন এই ব্যাপারে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর সুভাষ থাকি বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। খতিয়ে দেখে যদি কিছু অনিয়মের হদিস পাওয়া যায়, তবে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া কাজ করছে। দিনকে দিন চাপ বাড়াচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আর বিরোধীদের প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্নীতি। সেদিক থেকে বালুরঘাটের পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতির নামে জবকার্ড থাকার ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় তৃণমূল কংগ্রেস যে বালুরঘাট তথা দক্ষিন দিনাজপুর জেলায় ব্যাপক ভাবে চাপে পড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!