এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > পেট্রোল সেঞ্চুরি ছুঁতেই মুখ খুললেন অভিষেক-পার্থ, পাল্টা দিলেন দিলীপ!

পেট্রোল সেঞ্চুরি ছুঁতেই মুখ খুললেন অভিষেক-পার্থ, পাল্টা দিলেন দিলীপ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  করোনা এবং একগুচ্ছ বিধিনিষেধের জেরে এমনিতেই সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। তার মধ্যে রান্নার গ্যাস থেকে শুরু করে অন্যান্য নিত্যনৈমিত্তিক জিনিসের দাম ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল। আর এর মাঝেই পেট্রোল এবং ডিজেল কার্যত সেঞ্চুরিতে এসে পৌঁছেছে রাজ্যে। আর তারপর থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। আর মানুষের সেই ক্ষোভকে হাতিয়ার করে এবার ভারতীয় জনতা পার্টি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে একের পর এক টুইট করতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের।

এদিন পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি হওয়ার পরই বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে টুইট করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যেখানে নরেন্দ্র মোদী এবং তার নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান তারা। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন নিজেদের টুইটের মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছেন, ঠিক তখনই পাল্টা গেরুয়া শিবিরের হয়ে ব্যাটিং করতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষকে। যাকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।

বস্তুত, এদিন হু হু করে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বাড়তে শুরু করে। প্রায় সেঞ্চুরি ছুঁয়ে যায়। আর তারপরই একটি টুইট করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে অতীতে একসময় পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি বাড়ার সময় যে ট্যুইট করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই টুইট রি-ট্যুইট করেন তিনি। আর তার ওপরে ট্যাগলাইন দিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক লেখেন, “মোদী বাবু, পেট্রোল বেকাবু।” একইভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে সরব হতে দেখা যায় তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও। এদিন তিনি লেখেন, “নরেন্দ্র মোদীর নাটক দেখতে দেখতে মানুষ ক্লান্ত। এখন আকাশছোঁয়া পেট্রোলের দাম। কিন্তু তিনি এখন লুকিয়ে রয়েছেন। হয়ত আর একটা বড় মিথ্যে ভাষণ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।”

অর্থাৎ বিজেপিকে কার্যত বিন্দুমাত্র জায়গা ছেড়ে না দিয়ে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এখন থেকেই কটাক্ষ করার রাস্তা বেছে নিচ্ছে তৃনমূল কংগ্রেস। যা 2024 এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধিতার ক্ষেত্রে তৃণমূলের কাছে বড় হাতিয়ার বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও বা তৃণমূলের পক্ষ থেকে একের পর এক শীর্ষ নেতা এই ব্যাপারে বিজেপিকে কটাক্ষ করলেও, তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

এদিন এই প্রসঙ্গে পাল্টা যুক্তি দিতে দেখা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষকে। তিনি বলেন, “পেট্রোল-ডিজেলের দাম তো আজ থেকে বাড়ছে না। আগেও বাড়ত, এখনও বাড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। যেমন বাড়ছে, আবার ঠিক কমেও যাবে। গোটা বিশ্বই এখন অর্থনীতির লড়াই চালাচ্ছে‌। কোনো কিছুই স্থিতিশীল নয়। ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে।”

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাংলা দখলের পর তৃণমূলের কাছে এখন প্রধান টার্গেট লোকসভা নির্বাচনে বাংলার পাশাপাশি গোটা ভারতে বিজেপিকে চাপে ফেলে দেওয়া। আর সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যাতে বিজেপি বিরোধী মহাজোট গোটা দেশে গঠন করা যায়, তার জন্য প্রস্তুতি চালাতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দলকে বিস্তার লাভ করবার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

তাই পেট্রোল এবং ডিজেল যখন কার্যত আকাশছোঁয়া, ঠিক তখনই গোটা বিষয়ে ট্যুইট করে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা শুরু করে দিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। অর্থাৎ এখন থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে যে কোনো ইস্যু পেলেই যে তৃণমূল কংগ্রেস একেবারে তেতেফুড়ে ময়দানে নামবে, তা এই ঘটনা থেকেই কার্যত পরিষ্কার। সব মিলিয়ে তৃণমূলের অল-আউট আক্রমণের মুখে পড়ে পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!