এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পিসি-ভাইপোকে টাইট দিতে সুপার টনিক, আদালতের জন্যেই ঘুরছে খেলা ! নিঃস্কর্মা এজেন্সি !

পিসি-ভাইপোকে টাইট দিতে সুপার টনিক, আদালতের জন্যেই ঘুরছে খেলা ! নিঃস্কর্মা এজেন্সি !

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বিভিন্ন দুর্নীতির ঘটনায় তদন্ত করলেও তাদের ভূমিকায় কেউই সন্তুষ্ট হতে পারছে না। এমনকি বিজেপির বিভিন্ন নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে থেকেও ভেসে আসছে অসন্তোষের সুর। কেন বারবার ডাকাডাকি হচ্ছে, কেন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারছে না ইডি, সিবিআই! তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে। আর এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালতের নির্দেশে জেরা করা হলেও, কেন্দ্রীয় এজেন্সি কেন নিজে থেকে সক্রিয় নয়! সেই প্রশ্নও উঠছে। সেদিক থেকে একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যখন মানুষ সুবিচারের আশায় বসে রয়েছেন, তখন আদালত ছাড়া ভরসার জায়গা নেই বললেই চলে।

বলা বাহুল্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইডি জেরা করতে ডেকেছে ঠিকই। কিন্তু একটা অংশ মনে করছে যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জেরা করার ব্যাপারে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা 14 সেপ্টেম্বর শুনানিতে জানতে পারেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তাই তার আগের দিন নাম কে ওয়াস্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠানো হয়েছে। যাতে আদালতের কাছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখ না পোড়ে। সেই কারণেই তারা আগেভাগে এই জেরা করে নিজেদের গা-বাচানোর চেষ্টা করেছে। অর্থাৎ আদালতের কড়া পর্যবেক্ষণ না থাকলে যে কেন্দ্রীয় সংস্থা ঘুমিয়েই থাকতো, সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেরা নিয়ে বারবার প্রশ্ন করা হয়েছে। আর বারবার তিনি ওই একটাই উত্তর দিয়েছেন যে, আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডেকেছে। পাশাপাশি তিনি এটাও স্পষ্ট করেছেন যে, এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সংস্থার ভূমিকায় তিনি খুব একটা ভরসা পাচ্ছেন না। এদিন আবারও বিরোধী দলনেতা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, আদালত একমাত্র এই ব্যাপারে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই আদালতের ভূমিকা নিয়ে তারা প্রচন্ড খুশি।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিরোধী দলের প্রধান নেতার বক্তব্য থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সকলেই এখন কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর ভরসা হারাতে শুরু করেছেন। ডাকাডাকি করেই কেন কেন্দ্রীয় এজেন্সি থেমে থাকছে, কেন নিজে থেকে তারা পদক্ষেপ গ্রহণ করার মত সাহস দেখাচ্ছে না, এই প্রশ্ন উঠছে। সেদিক থেকে আদালত পদক্ষেপ গ্রহণ করার কারণে চাপের মুখে পড়েই কেন্দ্রীয় এজেন্সির এই সক্রিয়তা, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে যত সময় যাচ্ছে, ততই নিয়োগ দুর্নীতির রহস্য ভেদ করতে আদালত বড় ভরসা কেন্দ্র হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একাংশ বলছেন, পিসি ভাইপোকে যদি টাইট দিতে পারে, তাহলে তা একমাত্র দেবে আইন ব্যবস্থা। তাদের সুপার টনিকেই কাজ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!