এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পিকের স্ট্র্যাটেজিতে পাল্লা ভারী হচ্ছিল বিজেপির? এবার সব কন্ট্রোল নিজের হাতে নিচ্ছেন মমতা?

পিকের স্ট্র্যাটেজিতে পাল্লা ভারী হচ্ছিল বিজেপির? এবার সব কন্ট্রোল নিজের হাতে নিচ্ছেন মমতা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের খুব একটা ভালো ফলাফল না হওয়ার পরেই জলের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে রাজনৈতিক রণনীতি কারের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রশান্ত কিশোরের উপর। আর প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের দায়িত্ব নেওয়ার পর সবথেকে বেশি যে কর্মকাণ্ডের ওপর জোর দেন, তা হল দলের শুদ্ধিকরণ। কেননা প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধান করে তৃণমূলের যে সমস্ত সমস্যা তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম, দলীয় দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণ।

আর এর পরেই দেখা গেছে, যে সমস্ত নেতাদের নাম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সব মিলিয়ে শাসক দলের অন্দরে শুদ্ধিকরণের হাওয়া উঠতে শুরু করে। কিন্তু এই শুদ্ধিকরণের ফলে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসে। যেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল, যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাদের অনেকেই সেভাবে দলের কাজে সক্রিয় হচ্ছেন না।

অনেকে আবার বিজেপির দিকে যেতে শুরু করেছিলেন। যার ফলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই শুদ্ধিকরণের প্রক্রিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস যে অনেকটাই চাপে পড়তে শুরু করেছে, তা উপলব্ধি করে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে এবার আর শুদ্ধিকরণ করে দলে বিদ্রোহীদের সংখ্যা বাড়ানোর রাস্তায় হাঁটতে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, এবার সমস্ত দায়িত্ব নিতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করে ভবিষ্যতে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কিন্তু এখন যদি শুদ্ধিকরণ করা হয়, তাহলে দলের অনেক নেতার বসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সকলকে নিয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করার পরেই দল এই ব্যাপারে নজর দেবে বলে খবর।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রায়শই তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়। যার জেরে অস্বস্তিতে পড়ে শাসক দল। আর তাই সেই দিকটি যাতে বিরোধীরা তুলতে না পারে, তার জন্যই প্রশান্ত কিশোরের টিমের তরফে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও সমস্যা লক্ষ্য করা গেছে। একের পর এক কর্মী এবং নেতারা বিজেপির দিকে যেতে শুরু করেছিলেন। তাই এই পরিস্থিতিতে শুদ্ধিকরণের সমস্যাকে আপাতত শিকেয় তুলে সকলকে নিয়ে পথ চলতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেদিক থেকে প্রশান্ত কিশোরের শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ থাকবে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দলের সংগঠনকে যখন শক্তিশালী করা প্রয়োজন, তখন যদি ডানা ছাটার প্রক্রিয়া শুরু হয়, তাহলে দলে বিদ্রোহীর সংখ্যা বাড়তে পারে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। এমনিতেই বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাপ দিতে শুরু করেছে। তাই এমতাবস্তায় যদি দলের শুদ্ধিকরণ করে বিদ্রোহীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, তাহলে আরও চাপে পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন সমস্ত দায়িত্ব নিজের হাতে নিয়ে এই শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়াটিকে ভবিষ্যতের দরজায় ঠেলে দিতে চাইছেন।

অর্থাৎ সকলকে নিয়ে পথ চলে আগামী দিনে সংগঠনকে শক্তিশালী করে তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতায় আসাই প্রধান লক্ষ্য তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। আর তাই সকলে বলছেন, এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশান্ত কিশোরের হাত থেকে শুদ্ধিকরণের ব্যাপারটিকে নিয়ে নিজেই রিমোট কন্ট্রোলের ভুমিকা পালন করবেন। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!