প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই সমস্ত বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসকে অন্যান্য রাজ্যে ছড়িয়ে দিতে যখন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব উদ্যোগী, তখন অন্যান্য বিজেপি বিরোধী দলগুলোকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা করছিল তারা। কিন্তু দেশের মধ্যে সবথেকে বড় বিজেপি বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের মতানৈক্য মাঝেমধ্যেই প্রকাশ্যে দেখা যায়।

আর এই পরিস্থিতিতে আদৌ তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের বিজেপি বিরোধী মহাজোট গঠন সম্ভব কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। তবে অবশেষে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে সেই জল্পনাকে সম্পূর্ণরূপে ধুলিস্যাৎ করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে কংগ্রেসকে “অহংকারী” বলে একা লড়ার বার্তা দিলেন তিনি।

সূত্রের খবর, আজ নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন ছিল। আর সেখানেই সভানেত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে একাধিক বিষয়ে মুখ খুলতে দেখা যায় তৃণমূল নেত্রীকে। যেখানে কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “কংগ্রেস মেঘালয়, চণ্ডীগড়ে বিজেপির হয়ে ভোট করে দেয়। আমরা চেয়েছিলাম, বিজেপি বিরোধীরা এক জায়গায় আসুক। কিন্তু অহংকার করে কেউ যদি বসে থাকে, তাহলে রবীন্দ্রনাথ বলে গিয়েছেন, একলা চলো। একটি একটি করে ফুল দিয়ে গোটা মালা আমি গেঁথে নেব।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিনের বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে, কংগ্রেসের সঙ্গে তারা আগামী দিনে বিজেপি বিরোধী মহাজোটে যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে কংগ্রেস ইচ্ছা প্রকাশ না করার কারণেই যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, সেই বিষয়টিও স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে বিজেপি বিরোধী মহাজোট গঠনের আগেই সেখানে বড়সড় ধাক্কা এলো বলেই মনে করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।