এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর! লকডাউন নিয়ে বড়সড় ঘোষণা, এক সপ্তাহ বাদে হতে পারে শিথিল

জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর! লকডাউন নিয়ে বড়সড় ঘোষণা, এক সপ্তাহ বাদে হতে পারে শিথিল


করোনার সংক্রমণ ও তার ভয়াবহতা এড়াতে গত 24 মার্চ থেকে 14 ই এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম দফার লকডাউন পালন হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশ অনুযায়ী। দেশজুড়ে চাপান-উতোর চলছিল 14 ই এপ্রিল এর পরে লকডাউন নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে, তাই নিয়ে। ইতিমধ্যে বেশকিছু রাজ্য তাদের লকডাউন এর মেয়াদকাল বাড়িয়ে দেয়। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ অন্যতম। পশ্চিমবঙ্গের মেয়াদকাল বেড়ে হয়েছে 30 এপ্রিল। এরইমধ্যে 14 ই এপ্রিল সকালে প্রধানমন্ত্রী এলেন জনসমক্ষে এবং জানালেন লকডাউন নিয়ে আগামী দিনের পরিকল্পনা।

এদিন প্রধানমন্ত্রী দেশের সাধারণ জনগণকে গত পর্যায়ের লকডাউন মানার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি সাবধান করেছেন, এবারের লকডাউন পরিস্থিতি যে আরো কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে তা নিয়ে। দ্বিতীয় দফার লকডাউন আগামী 3 রা মে পর্যন্ত চলবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। তবে তার সঙ্গে এও জানিয়েছেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী 20 এপ্রিলের পর থেকে যাতায়াতে শর্তসাপেক্ষে ছাড় দেওয়া যেতে পারে। তবে পুরোটাই পরিস্থিতি বিচার করে হবে।

14 ই এপ্রিল সকাল দশটায় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর সামনে এসে তাঁদেরকে প্রথমেই নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রথম দফার লকডাউন পালনের জন্য যথেষ্ট প্রশংসা করেন। এরপর তিনি দ্বিতীয় দফার লকডাউন ঘোষণার সাথে সাথে এও বলে দেন, দেশের প্রতিটি রাজ্যে যাতে সঠিকভাবে লকডাউন পালন করা হয় সেদিকে কড়া নজর দিতে হবে রাজ্য প্রশাসনকে। প্রসঙ্গত প্রথমবার লকডাউন শুরু হবার পর থেকেই মানুষ হয়ে রয়েছে গৃহবন্দী। প্রতিটি মানুষের রোজগারে পড়েছে টান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস কাছারি সমস্ত কিছু বন্ধ। মনে করা হচ্ছে, এই অবস্থায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দিনমজুর এবং কৃষকরা। এই বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আগাম জানান, আগামী 20 এপ্রিলের পর পরিস্থিতি বিচার করে কিছু বিষয়ে ছাড় দেওয়া যেতে পারে, তবে অবশ্যই শর্তসাপেক্ষে ছাড় মিলবে বলে প্রধানমন্ত্রী এদিন জানান। অন্যদিকে হটস্পট চিহ্নিত এলাকাগুলি থেকে বিশেষ অনুমতি ছাড়া বাইরে বেরোনো যাবে না একথাও তিনি বলেন। পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রী আরোগ্য সেতু নামক একটি মোবাইল অ্যাপ বেশি করে ব্যবহার করার জন্য সবার কাছে আবেদন জানান।

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অভিযোগ ছিল, এ রাজ্যে লকডাউন সঠিকভাবে মানা হচ্ছেনা। বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় সমাবেশ হলেও রাজ্য প্রশাসন সেদিকে নজর দিচ্ছেনা। প্রধানমন্ত্রী এদিন তাঁর ভাষণে পরিষ্কার করে জানিয়ে দেন, ‘লকডাউন পালনে যেন কেউ গাফিলতি না করে।’ 20 এপ্রিলের পর ছাড় দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, প্রত্যেকটি রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলায় কড়া নজরদারি রাখার পর সংক্রমণের ব্যাপারে সম্পূর্ণ পরিস্থিতি বিচার করে তবেই ছাড় মেলা যেতে পারে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে ভারতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা 9000 অতিক্রান্ত করেছে।

প্রায় প্রতিদিন মৃতের সংখ্যা একটু একটু করে বাড়ছে। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী লকডাউন এর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনা সংক্রমণ এড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে লকডাউন বাড়ানো ছাড়া অন্য কোন রাস্তা এই মুহূর্তে নেই। কারণ অজানা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এই অবস্থায় একমাত্র সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলেই করোনা সংক্রমণ এড়ানো যাবে বলে দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!