এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পদ হারালেন বিধায়ক ঘনিষ্ঠ দুই হেভিওয়েট নেতা, এবার কি এই বিধায়কের ডানা ছাঁটার পালা? জল্পনা চরমে !

পদ হারালেন বিধায়ক ঘনিষ্ঠ দুই হেভিওয়েট নেতা, এবার কি এই বিধায়কের ডানা ছাঁটার পালা? জল্পনা চরমে !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে জেলায় জেলায় চলছে তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল, গঠিত হচ্ছে নতুন করে জেলা ও ব্লক কমিটি। অনেক ক্ষেত্রে অপসারিত করা হচ্ছে পুরোনো সভাপতিদের, আসছে নতুন মুখ। নদীয়া জেলার নতুন কমিটি গঠনের পর চাপড়ায় বিধায়ক রুকবানুর রহমানের ঘনিষ্ঠ দুজন অঞ্চল সভাপতিকে অপসারিত করা হলো। আবার বিধায়ক রুকবানুর রহমানের আপত্তিকে গুরুত্ব না দিয়েই তাঁর বিরোধী বলে পরিচিত জেলা নেতৃত্বর ঘনিষ্ঠ জেবের শেখকে চাপরা ব্লক সভাপতি পদে বহাল রাখা হয়েছে। স্থানীয় কিছু তৃণমূল নেতা-কর্মী মনে করছেন যে, এই দুই অঞ্চল সভাপতিকে অপসারিত করে বিধায়ক রুকবানুর রহমানকে দলে দুর্বল করে দেবার একটা প্রচেষ্টা চলছে। এদিকে বিধায়কের বিরোধী জেবের শেখকে বিধানসভা ভোটের টিকিট দিয়ে বিধায়ককে আরও কোণঠাসা করে দেওয়ার চেষ্টা চলতে পারে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত চাপড়া ব্লকে মোট ১৩ টি অঞ্চল রয়েছে। এই ১৩ টি অঞ্চলের মধ্যে প্রায় অর্ধেক অঞ্চলে এতদিন বিধায়ক রুকবানুর রহমানের অনুগামীরা এতদিন সভাপতি পদে বহাল ছিলেন। এই অঞ্চল গুলির মধ্যে দুটি অঞ্চল হলো আলফা ও কলিঙ্গ। গত সোমবার এই দুই অঞ্চলের সভাপতি বদল করা হলো। আলফার অঞ্চল সভাপতি খোরশেদ আলম মোল্লাকে সরিয়ে আনা হয়েছে গোলাম রসুল হালসানাকে। আবার কলিঙ্গতে অঞ্চল সভাপতি সামসুল ইসলাম মন্ডলকে সরিয়ে দিয়ে আনা হলো নুরুল ইসলাম মহলদারকে। প্রসঙ্গত, গোলাম রসুল হালসানা ও নুরুল ইসলাম মহলদার দুজনেই জেবের শেখের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।

এ প্রসঙ্গে জেবের শেখ জানিয়েছেন যে, বিধায়ককে কোণঠাসা করতে বা গোষ্ঠী রাজনীতির কারণে নয়, দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই এই রদবদল করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন কলিঙ্গের অঞ্চল সভাপতি সামসুল ইসলাম মন্ডলের হার্টের সমস্যা আছে। তাঁর বাইপাস সার্জারি করানো হয়েছে। অসুস্থতার জন্য তিনি আর সাংগঠনিক কাজে সেভাবে যোগদান করতে পারছেন না। অন্যদিকে আলফার খোরশেদ আলম মোল্লার সঙ্গে সেই এলাকার নেতাকর্মীদের তেমন একটা যোগাযোগ নেই। একারনেই দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে এই দুই অঞ্চলের সভাপতি বদল করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে অপসারিত খোরশেদ আলম মোল্লা ও সামসুল ইসলাম মন্ডল দুজনেই জেবের শেখের এই বক্তব্য মেনে নিতে রাজি নন। এ প্রসঙ্গে সামসুল ইসলাম জানালেন যে, ২০১৭ সালে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। এরপর পঞ্চায়েত, লোকসভা ভোট করেছিলেন তিনি। দলকে জিতিয়েও ছিলেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিধায়কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার করণেই তাঁকে অপসারিত করা হলো। খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, জেবের শেখের দাবি একেবারেই ভিত্তিহীন। কারণ, গত লোকসভা তাঁর এলাকা থেকে তেরো হাজারের মধ্যে সাড়ে আট হাজার ভোটে লিড দিয়েছিলেন তিনি। বিধায়কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকার কারণেই তাঁকে অপসারিত করা হলো বলে জানান তিনি।

আবার বিধায়ক রুকবানুর রহমান তাঁর ঘনিষ্ঠ শুকদেব ব্রহ্মকে চাপরার ব্লক সভাপতি করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর কথা না শুনেই জেবের শেখকে সভাপতি পদে বহাল রাখা হলো। জেবের শেখ নতুন করে ব্লক সংগঠন সাজাতে শুরু করেছেন। তিনি চাইছেন বিধায়কের ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণ যতটা পারা যায় কমিয়ে আনার। বিধায়ক রুকবানুর রহমান অভিযোগ করেছেন যে, তাঁর সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই এ ধরনের রদবদল করা হলো। আগামী বিধানসভা ভোটের আগে এই ধরনের সাংগঠনিক রদবদল দলের জন্য ভালো ফল নাও আনতে পারে। এভাবে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ দুজন অঞ্চল সভাপতির অপসারণ কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গেল। অনেকেই এর মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বর ছায়া দেখতে পাচ্ছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!