এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পদ পাওয়া নেতারাই জানেন না তারা পদে রয়েছেন! জোর চাঞ্চল্য তৃণমূলের অন্দরে!

পদ পাওয়া নেতারাই জানেন না তারা পদে রয়েছেন! জোর চাঞ্চল্য তৃণমূলের অন্দরে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি জলপাইগুড়ি জেলার একাধিক স্কুলের পরিচালন সমিতির তালিকাকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যেখানে তালিকায় একাধিক তৃণমূল নেতার নামের পাশে যুক্ত হয়েছে একাধিক পদ। যার ফলে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। বেছে বেছে কিছু নির্দিষ্ট তৃণমূল নেতাদের কেন সব পদ দিয়ে দেওয়া হল, তা নিয়ে নানা মহলে ব্যাপক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে চাপে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে আশ্চর্যজনকভাবে এই তালিকায় যে সমস্ত তৃণমূল নেতাদের নাম রয়েছে, তারা নাকি জানেনই না যে, সেই তালিকায় তাদের নাম রাখা হয়েছে। যার ফলে আরও তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি জলপাইগুড়ি জেলার 34 টি স্কুলের পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান এবং শিক্ষানুরাগী সদস্যদের নামের তালিকা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তর থেকে প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে জলপাইগুড়ি শহরের 18 টি স্কুলকে এই তালিকার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু সেই 18 টি স্কুলের 54 টি পদ 24 জন তৃনমূল নেতার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে এক একজন নেতা ছয় বা সাতটি করে পদ পেয়েছেন। এদিকে সম্প্রতি এই তালিকা প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথেই তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে দেখা যায়।

কেন এইভাবে কিছু নির্দিষ্ট নেতাদের সমস্ত পদ দিয়ে দেওয়া হল, তা নিয়ে বিরোধীদের পাশাপাশি তৃণমূলের অন্দরেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। আর এবার এই গোটা বিষয় নিয়ে তৃণমূলের নেতাদের গলা থেকে যেরকম কথা শোনা গেল, তা রীতিমত হতবাক করছে রাজনৈতিক মহলকে। তৃণমূলের একাংশ বলতে শুরু করেছেন, যারা পদ পেয়েছেন, তাদের অনেকেই জানেন না যে, তারা এই পদে রয়েছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় বলেন, “54 টি পদ মাত্র 24 জন নেতার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে, এ তো সাংঘাতিক। আমি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব।” এদিকে কমিটিতে না থাকতে চেয়েও তাদের নাম যেভাবে কমিটিতে রাখা হয়েছে, তা দেখে তাজ্জব তৃণমূলের একাধিক নেতা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে কমিটিতে থাকা শুভ্রজিৎ কর বলেন, “পাঁচ মাস আগে জেলা নেতৃত্বকে আমি জানিয়েছিলাম দলীয় বা সরকারি কোনো পদে আমাকে যেন রাখা না হয়। তার পরেও আমাকে না জানিয়ে কমিটিতে রাখা হয়েছে।” এদিকে আরেক তৃণমূল নেত্রী তিতির গুহর স্বামী রানা গুহ বলেন, “আমার স্ত্রী কমিটিতে না রাখার কথা বলেছিলেন। তাও শোনা হয়নি। আমার স্ত্রী সব কমিটি থেকে ইস্তফা দেবেন বলে স্থির করেছেন।” আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কি তৃণমূল নেতৃত্ব সমস্ত কিছু দেখে নিয়ে এই নামগুলো রাজ্য নেতৃত্বকে দেয়নি !

আর তাই কি এভাবে কিছু সংখ্যক নেতা-নেত্রীদের মধ্যে সেই পদ বিলিয়ে দেওয়া হয়েছে? কিন্তু কেন এই ব্যাপারে জেলা নেতৃত্ব সচেতন ছিল না? এখন সেই নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। যেভাবে পদ পেয়েও এখন নানা তৃণমূল নেতারা আপত্তি জানাতে শুরু করেছেন, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটাই বিপাকে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!