এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > পরিযায়ী শ্রমিকদের হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়াতে চায় কংগ্রেস, পাল্টা জমি দখলে ময়দানে তৃণমূলও

পরিযায়ী শ্রমিকদের হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়াতে চায় কংগ্রেস, পাল্টা জমি দখলে ময়দানে তৃণমূলও


করোনা ভাইরাসকে আটকাতে অনেকদিন আগেই দেশজুড়ে লকডাউনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যার জেরে ভিন রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকরা চরম সমস্যায় পড়েছিলেন। নিজের ঘরে ফিরতে না পেরে তারা সরকারের কাছে আবেদন করছিলেন যেন তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সেই মত বর্তমানে চতুর্থ দফার লকডাউনের সময় কিছুটা শিথিলতা আসায় সেই সমস্ত শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

তবে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজের ঘরে ফেরা নিয়ে এবার নিজেদের রাজনৈতিক মাটি শক্ত করতে ময়দানে নেমে পড়ল শাসক দল তৃণমূল এবং বিরোধী দল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কান্দি মহকুমা এলাকা থেকে কয়েক হাজার শ্রমিক কাজের জন্য ভিন রাজ্যে গিয়েছিলেন। তবে বর্তমানে লকডাউন পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হওয়ায় তাঁরা বাড়ি ফিরে আসতে শুরু করেছেন। তবে বাড়ি ফিরে এসে রীতিমতো নুন আনতে পানতা ফুরানোর জোগাড় সেই সমস্ত শ্রমিকদের ঘরে।

তাদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী হল কংগ্রেস। জানা গেছে, এদিন সেই শ্রমিক পরিবারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেন কান্দির কংগ্রেস বিধায়ক সফিউল আলম খান এবং বড়ঞার কংগ্রেস বিধায়ক প্রতিমা রজক। এদিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের বাড়িতে গিয়ে তাদের নাম এবং ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়। এদিকে শ্রমিকদের সহযোগিতা করতে গিয়ে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠে ভরতপুরের কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায়ের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে থাকার জন্য উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি মাঠে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেসও। তারাও শ্রমিকদের পাশে থেকে তাদের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন এই প্রসঙ্গে বড়ঞার কংগ্রেস বিধায়ক প্রতিমা রজতকে কটাক্ষ করে যুব তৃনমূলের সভাপতি মাহে আলম বলেন, “আমাদের বিধায়ককে বছরে একদিনও মানুষের সুখ দুঃখে পাশে থাকতে দেখা যায়নি। অথচ শ্রমিকদের এই দুর্দিনে তাদের পরিবারকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেড়াচ্ছেন।”

একইভাবে এই ব্যাপারে কান্দির কংগ্রেস বিধায়ককেও কটাক্ষ করেছেন কান্দি মহকুমা তৃণমূলের সভাপতি গৌতম রায়। তিনি বলেন, “ওরা ভোটে জেতার পর মানুষের পাশে দাঁড়ায় না। শ্রমিকরা টাকা খরচ করে বাড়ি ফিরছেন। রাজ্য সরকার শ্রমিকদের বাড়ি ফিরিয়ে আনছে। কংগ্রেস ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভয়াবহ এই দুর্যোগে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে থেকে আগামী দিনে ভোট বৈতরণী পার করতে চাইছে শাসক-বিরোধী প্রতিটি রাজনৈতিক দল।

আর তারই অঙ্গ হিসেবে মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে যখন কংগ্রেস থাকতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই তাদের কটাক্ষ করে পাল্টা নিজেদের শ্রমিক দরদী ভাবমূর্তি তুলে ধরতে উদ্যোগী হচ্ছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস‌। আর বাংলায় কংগ্রেসের ভোট ক্ষয় হতে হতে তা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে মালদা-মুর্শিদাবাদে। সুতরাং সেই গড় এত সহজে হারাতে রাজি নয় তারা। অন্যদিকে, সংখ্যালঘু ভোটবাক্স একতরফা ভাবে নিজেদের দখলে আনতে মরিয়া তৃণমূলও। ফলে এখন কে প্রকৃত শ্রমিকদরদী, তা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভোটবাক্স খোলার পরই প্রমাণিত হয়ে যাবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!