এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরতেই গ্রীনজোন হচ্ছে অরেঞ্জ বা রেড! চিন্তায় ঘুম উড়ছে প্রশাসনের!

পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরতেই গ্রীনজোন হচ্ছে অরেঞ্জ বা রেড! চিন্তায় ঘুম উড়ছে প্রশাসনের!


বর্তমানে লকডাউনের ফলে অনেক দিন বাড়ি ছেড়ে থাকা শ্রমিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা এখন নিজের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। আর ভিন রাজ্য বা ভিনদেশ থেকে এখন পশ্চিমবাংলায় সেই সমস্ত মানুষরা ফিরে আসায় তৈরি হয়েছে আতঙ্ক।

বস্তুত, প্রথমদিকে মালদহ, উত্তর দিনাজপুরের মত জেলাগুলি গ্রীনজোন বলেই চিহ্নিত ছিল। কিন্তু এখন ক্রমাগত এই দুই জেলায় পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরতে শুরু করেছে। তার ফলে দেখা যাচ্ছে যে, ইতিমধ্যেই 13 জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

অন্যদিকে অরেঞ্জ জোন হিসেবে পরিচিত মুর্শিদাবাদেও তিন পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা ভাইরাস পজেটিভ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। আর এরফলে বর্তমানে অনেক জেলাগুলোতে অন্য রাজ্য থেকে ফিরে আসা শ্রমিকরা ফেরার সাথে সাথেই যাতে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়, তার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে সাধারন বাসিন্দাদের তরফ থেকে আবেদন জানানো হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

জানা গেছে, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের মত জেলাগুলো গ্রীনজোনে থাকলেও প্রচুর শ্রমিক এখন এই জেলায় নিজেদের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। সম্প্রতি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে বেশকিছু শ্রমিক ফেরার পর তার মধ্যে বেশকিছু জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট ধরা পড়ে। এছাড়াও রায়গঞ্জের দুজন এবং হেমতাবাদের একজন ব্যক্তিও করোনায় আক্রান্ত বলে খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে রায়গঞ্জে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন আক্রান্ত এক ব্যক্তি অনেককে মিষ্টি বিলি করেছেন। ফলে তার বিলি করা মিষ্টির অন্যদের সংস্পর্শে আসায় পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন থেকেই যদি জেলাগুলিতে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের চিহ্নিত করা না যায়, তাহলে পরিস্থিতি ভবিষ্যতে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

যত দিন যাচ্ছে, তত শ্রমিকরা বাড়িতে ফিরছেন। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, কোয়ারেন্টাইন রাখা এই সমস্ত দিকে অবশ্যই নজর দেওয়া উচিত প্রশাসনের। ফলে এখন জেলা প্রশাসনের কাছে সাধারন বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে একটাই আবেদন যে, শ্রমিকরা তাদের বাড়িতে ফিরলেও যেন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। সব মিলিয়ে এখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কতটা সদর্থক ভূমিকা পালন করা হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!