এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়িয়ে এবার শীত পড়তেই চলতে পারে টয় ট্রেন, আধিকারিকদের কথায় বাড়লো জল্পনা !

পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়িয়ে এবার শীত পড়তেই চলতে পারে টয় ট্রেন, আধিকারিকদের কথায় বাড়লো জল্পনা !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পাহাড়ের রানী দার্জিলিং। আর এই দার্জিলিংয়ের অন্যতম আকর্ষণ হলো টয়ট্রেন। বরাবরই দেখা গেছে, দার্জিলিঙে গেলে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা টয়ট্রেনে না চেপে ফেরেন না। কিন্তু করোনার কারণে হয় লকডাউন এবং যথারীতি বন্ধ হয়ে যায় টয়ট্রেন পরিষেবা।  করোনা আবহে শুধু টয়ট্রেন কেন, দার্জিলিংয়ের দরজাও বন্ধ থাকে বেশ কিছুদিন পর্যটকদের জন্য। কিন্তু নিউ নর্মালে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে রাজ্য। দার্জিলিংসহ পাহাড়ের অন্যান্য জায়গাগুলোও স্বাভাবিকের পথে। আর তাই শীত শুরু হতেই ধীরে ধীরে ভিড় বাড়ছে পাহাড়ে আর এই পরিস্থিতিতে টয় ট্রেন চালাতে প্রস্তুত দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলে জানা গেছে।

করোনার শুরুতেই লকডাউন শুরু হয়ে যাবার পর থেকেই দার্জিলিং পাহাড়ের অন্যতম আকর্ষণ টয়ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রয়েছে কিন্তু এবার নিউ নর্মালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে দার্জিলিঙে, টুরিস্টের ভিড় বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের অনুমতিতে 30% যাত্রী নিয়ে এবার পাহাড়ে টয়ট্রেন চালাতে তৈরি রেল বলে জানা গিয়েছে। আনলকে পর্যটকরা পাহাড়ে আসলেও তাঁরা টয়ট্রেনের আকর্ষণ ত্যাগ করেছিলেন কারণ টয়ট্রেন চলছিলনা। ফলতঃ তাঁদের বিফল মনোরথ নিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছিল। আর তাই পর্যটকদের মুখে হাসি ফোটাতে আবারও শুরু হতে চলেছে টয়ট্রেন পরিষেবা। সোমবার টয়ট্রেনের ট্র্যাক ও স্টেশনগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জীব রায়।

এবং তার কথাতেই পরিষ্কার- রাজ্য সরকার অনুমতি দিলে 30% যাত্রী নিয়ে টয়ট্রেন করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে। উত্তরবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন, আনলক পর্বের শুরু থেকেই পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। টয়ট্রেনে ওঠার জন্য উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। আর তাই শীঘ্রই ট্রেন চালানোর আবেদন রাখা হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে। আনলক পর্বে বেশ কিছু স্পেশাল ট্রেন চলেছে। আর বুধবার থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হতে চলেছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। সেক্ষেত্রে দার্জিলিংয়ের ট্রয় ট্রেন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ পর্যটকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তাই এই বিষয়টি মাথায় রেখেই রেলের পক্ষ থেকে দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এর মাধ্যমে রাজ্য সরকারের কাছে অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। যদিও রাজ্যের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোন উত্তর দেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে এদিন টয়ট্রেন পরিষেবার সমস্ত রকম প্রস্তুতি ঠিক রাখতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জীব রায়, কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম রবীন্দ্র কুমার ভার্মা টয়ট্রেনের ট্র্যাকগুলি এবং স্টেশন পরিদর্শনে আসেন। সকালে তাঁরা শিলিগুড়ি-নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে সোজা সুকনায় পৌঁছান এবং ট্রেনে করে রংটং এ যান। যাওয়ার সময় তাঁরা টয়ট্রেন ট্র্যাকের অবস্থা এবং স্টেশনের পরিকাঠামো সবকিছু খতিয়ে দেখেন বলে জানা গিয়েছে।

রংটং স্টেশনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জীব রায় জানিয়েছেন, বর্তমানে টয়ট্রেন পরিষেবা চালু করতে প্রস্তুত রয়েছে ভারতীয় রেল। তবে এই মুহূর্তে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার ব্যাপারটি মাথায় রাখা হচ্ছে রাজ্যের অনুমতি পেলে 30% যাত্রী নিয়ে করোনা বিধি মেনে টয়ট্রেন পরিষেবা চালু করা হবে। এই পরিষেবা চালু হলে খুব স্বাভাবিকভাবেই পাহাড়ে যাত্রীসংখ্যা যে আরো বৃদ্ধি পাবে সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। কারণ দীর্ঘ সময় পাহাড়ের কোল ঘেঁষে টয়ট্রেনে চলার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে মুখিয়ে থাকেন সবাই। আপাতত শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের অনুমতির অপেক্ষা, আর তারপর শীত পড়তেই পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে শুরু হতে চলেছে টয়ট্রেন পরিষেবা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!