এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > সুদীর্ঘ তদন্তের শেষ কবে? সুবিচারের অপেক্ষায় জনতা! জোরালো দাবি শুভেন্দুর!

সুদীর্ঘ তদন্তের শেষ কবে? সুবিচারের অপেক্ষায় জনতা! জোরালো দাবি শুভেন্দুর!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত অনেক দিন ধরেই চলছে। সাধারণ মানুষ রীতিমতো হতাশ। তদন্ত তো হচ্ছে, ডাকাডাকি হচ্ছে, তল্লাশি চলছে। কিন্তু এই তদন্তের শেষ কোথায়, এটাই সকলের মধ্যে মূল প্রশ্ন। আর এই পরিস্থিতিতে আবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে নিজাম প্যালেসে যেতে হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে। তবে মানুষের দাবি, তদন্তের নিষ্পত্তি হোক। যারা প্রকৃত দোষী, তাদের কঠোর শাস্তি হোক। রাজ্যের বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকেও এই দাবি তোলা হয়েছিল। তবে আরও একবার সেই দাবিতে আওয়াজ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অর্থাৎ এক কথায় শুভেন্দু অধিকারী মানুষের মনের যে দাবি, মানুষ যা চাইছেন, সেই কথাই প্রকাশ্যে তুলে ধরেছেন।

প্রসঙ্গত, এদিন মুর্শিদাবাদে কিছু পুজোর উদ্বোধন করতে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর সেখানেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে নিজাম প্যালেসে যাওয়ার নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যা দিয়েছেন, তা নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বিচারপতিকে বেকার যুবক যুবতীদের কাছে মনুষ্যরূপী ভগবান বলে দাবি করেন। পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন যে, যে মামলা চলছে, তার দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সেটাই চান। একাংশ বলছেন, এটা তো অত্যন্ত সত্যি কথা যে, অনেকদিন হলো এই তদন্ত চলছে। এমনকি আদালত যে এই তদন্তে খুব একটা খুশি, তেমন টাও নয়। তারাও চাইছেন যে, ডাকাডাকি অনেক হলো। এবার একটা পদক্ষেপ নিক কেন্দ্রীয় সংস্থা। এক কথায়, আদালত রয়েছে বলেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এখন তদন্তের গতিতে কিছুটা বাড়াতে শুরু করেছে। তা না হলে তারা কার্যত ঘুমিয়ে পড়েছিল। তবে তদন্তের ক্ষেত্রে আরও কিছুটা গতি না আনলে মানুষের মধ্যে প্রবল হতাশা তৈরি হবে। তাই সকলের স্বার্থেই এই তদন্ত প্রক্রিয়াকে দ্রুত নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, টাকার বিনিময়ে যে রাজ্যে চাকরি বিক্রি হয়েছে, তা নতুন করে প্রমাণ করতে হবে না। সমস্ত কিছু পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তাই চোখের সামনে যারা দুর্নীতি করেছে, তারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন, এটা রাজ্যের মানুষ সহ্য করতে পারছেন না। বেকাররা রাস্তায় বসে রয়েছেন। চাকরি না পাওয়ার যন্ত্রনা উৎসবের মধ্যেও তাদের চোখে জল ফেলতে বাধ্য করছে। তাই এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলনেতা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হয়ে দোষীদের শাস্তির যে দাবি করেছেন, তা মানুষের দাবি। তাই সেদিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির লক্ষ্য রেখে তদন্ত প্রক্রিয়ার গতি আরও অনেক বেশি বাড়ানো প্রয়োজন বলেই মত গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, পশ্চিমবঙ্গের বুকে এটা প্রমাণিত যে, শুভেন্দু অধিকারী শুধু বিরোধী দলনেতা নন। তিনি মানুষের নেতা। তাই আজকে মানুষের মধ্যে থেকে যে সমস্ত দাবি উঠছে, তিনি সেটাই প্রকাশ্যে তুলে ধরেছেন। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতি সময় সোচ্চার হয়ে যে সমস্ত কাজ বেআইনি, তার বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করছেন। কেউ স্বীকার করুক বা না করুক, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা এবং তাদের তদন্তের ক্ষেত্রে একটু ঢিল গতি নিয়ে নানা মহলে একটা প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছে। তবে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আদালত তাদের একের পর এক পর্যবেক্ষণ এবং নির্দেশ দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে, বেকার শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীদের পাশে আইন ব্যবস্থা রয়েছে। তাই সেই ব্যাপারে আদালতের পাশাপাশি আওয়াজ তুলে শুভেন্দু অধিকারীও বুঝিয়ে দিলেন, দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!