এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিরাট চ্যালেঞ্জ! পিসির মতই মিথ্যা ডায়লগে ভরপুর ভাইপো? কটাক্ষ বিজেপির!

বিরাট চ্যালেঞ্জ! পিসির মতই মিথ্যা ডায়লগে ভরপুর ভাইপো? কটাক্ষ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-পিসির কাছ থেকে আর কিছু শিখুক বা না শিখুক, মিথ্যে বলাটা বেশ ভালোভাবেই রপ্ত করেছেন আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় ভাইপো। কিভাবে খবরের শিরোনামের টিকে থাকতে হবে, কিভাবে মিথ্যের ফুলজুরি দিয়ে বিরোধী নেতৃত্বদের চ্যালেঞ্জ জানাতে হবে, কিভাবে মিডিয়া অ্যাটেনশন পাওয়া যাবে, তার কাজটা তিনি বেশ সফলতার সঙ্গেই করছেন। বিরোধীদের বক্তব্য তেমনটাই। তবে এতদিন তো ভাইপোর অনেক বড় বড় চ্যালেঞ্জের কথা আপনারা সকলেই শুনেছেন। কিন্তু এবার সেই পিসিমণির গুণধর ভাইপো কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কোনো মন্ত্রীকেই চ্যালেঞ্জ করতে বাকি রাখলেন না। পুজোর মধ্যে নিজের সংসদীয় এলাকায় তিনি এমন একটি বক্তব্য রাখলেন, যা শুনে অনেকেই অবাক। যার পিসি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে সামান্য বেকার গুলোর চাকরি দিতে পারেন না, প্যানেলভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষিতরা চাকরি পায় না, কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়, সেখানে তার ভাইপো দাবি করে বসলেন, তিনি নিজের এলাকায় যে কাজ করেছেন, তার অর্ধেক কাজ যদি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী করে থাকেন, তাহলে নাকি তিনি আর মুখ দেখাবেন না!

প্রসঙ্গত, এদিন নিজের সংসদীয় এলাকায় একটি কর্মসূচিতে গিয়ে এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা দেখে অনেকে বলছেন, পিসির মত হয়ত ভাইপোরও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার শখ হয়েছে। যার কারণে তিনি সমস্ত সীমারেখা অতিক্রম করতে শুরু করেছেন। গোটা দেশজুড়ে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে। অথচ সেখানে নিজের সংসদীয় এলাকার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সংসদীয় ক্ষেত্র সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সংসদীয় ক্ষেত্রে উন্নয়নের তুলনা আনতে চাইছেন ভাইপো। অথচ তিনি ভুলে যাচ্ছেন, যে দুর্নীতির প্রশ্রয়দাতা হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পিসি ভাইপোকে দায়ী করছেন, তা ভারতবর্ষের আর কেউ প্রধানমন্ত্রী এবং তার দলকে করে না। বাংলায় একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষন করা হয় ভোট ব্যাংকের রাজনীতির জন্য। কিন্তু ভারতবর্ষে বিজেপি সরকার সাবকা সাথ সবকা বিকাশে বিশ্বাসী। যার কারণে সেখানে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করার কোনো বিষয় নেই। আর এটাই সামাজিক উন্নয়ন। যা করার মত ক্ষমতা নেই আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় ভাইপোর বলেই দাবি সমালোচকদের।

বিজেপির দাবি, কয়লা, বালি চাকরি চুরিতে যারা হাত পাকিয়েছেন, তাদের মুখ থেকে এত বড় বড় কথা মানায় না। ডায়মন্ডহারবার এলাকায় তিনি সাধারণ মানুষের চোখের জল ছাড়া আর কিছুই দেখাতে পারবেন না। তার যোগ্যতাই নেই ভারতবর্ষের কোনো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সম্পর্কে নিজের তুলনা করার। তিনি বৃথা নিজেকে খবরের শিরোনামে আনার চেষ্টা করছেন। আসলে তিনি নিজেও জানেন, দুদিন পর হারিয়ে যাবেন রাজনীতি থেকে। তাই এখন যেভাবেই হোক, চ্যালেঞ্জ করে খবরের মিডিয়াতে থেকে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর মরিয়া চেষ্টা ভাইপোর। তবে এসব করে দুদিন খবরে থাকা যেতে পারে‌। কিন্তু কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয় আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় নেতার কাছে বলেই কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের।পর্যবেক্ষকদের মতে, যারা চুরি করতে করতে সংস্কৃতির বাংলাকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছেন, তাদের মুখ থেকে এত বড় বড় কথা আসে কোথা থেকে! একশো দিনের কাজ নিয়ে এত কথা তো বললেন বাংলার যুবরাজ। কিন্তু সামান্য হিসাব টুকু দিতে পারলেন না! কেন্দ্রীয় সরকারকে হিসাব দিলেই তো কেন্দ্র টাকা দিয়ে দেবে। তাহলে নিজেরা চুরি করে রাজ্যের সর্বনাশ করে আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে নিজের কাজে তুলনা করছেন! তেমনই কটাক্ষ বিরোধীদের।

যদি সত্যিই বাংলার উন্নতি চান, যদি সত্যিই চান যে, বাংলা মাথা তুলে দাড়াক, তাহলে বিজেপির সঙ্গে গঠনমূলক প্রতিযোগিতায় জড়ান। এসব চ্যালেঞ্জ করে কিছু হবে না। প্রকৃত উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিন কেন্দ্রীয় সরকারকে। একটা গঠনমূলক প্রতিযোগিতা হোক। কারণ দিনের শেষে সকলেই চায়, বাংলার উন্নতি হোক। তাই পিসির মত কথায় কথায় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার ফর্মুলা বাদ দিয়ে প্রকৃত উন্নয়ন করুন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!