এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > মানুষের কষ্টকে ধামাচাপা দিতে নয়া চেষ্টা মমতার, ধুয়ে দিচ্ছে বিরোধীরা!

মানুষের কষ্টকে ধামাচাপা দিতে নয়া চেষ্টা মমতার, ধুয়ে দিচ্ছে বিরোধীরা!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এ কোন রাজ্যে বাস করছি আমরা! যেখানে বেকারদের চাকরি নেই, কর্মচারীরা প্রাপ্য বেতন পাচ্ছেন না, ডিএ দিতে পারছে না রাজ্য, উৎসবের মধ্যে প্রতিবাদে বসে রয়েছেন রাজ্যের একাধিক মানুষ, বিভিন্ন প্রতিবাদীরা রাস্তায় বসে রয়েছেন। আর সরকার নিজেদের সাজসজ্জা দেখাতেই ব্যস্ত। এমন একটা ভাব দেখাচ্ছে রাজ্য সরকার, যেন এই রাজ্য খুব খুশিতে রয়েছে। মানুষের কষ্টকে কি করে ধামাচাপা দেওয়া যায়, তার চেষ্টা প্রতিমুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার করেই চলেছেন। বিভিন্ন সময় এই অভিযোগ গুলোই করতে দেখা যায় রাজ্যের বিরোধী দল গুলোকে। কিন্তু এবার সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পক্ষ থেকে এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, যার ফলে একাংশ মনে করছেন যে, বিরোধীদের অভিযোগ কিছুটা হলেও সত্যি। সত্যিই মানুষের বেদনাকে ধামাচাপা দিতে, মানুষের কষ্টকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে এই সরকারের চেষ্টার শেষ নেই। তারা এমন ভাবে মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে, যাতে সকলে দেখে মনে করবে, পশ্চিমবঙ্গটা প্রচন্ড চকচকে। কিন্তু ভেতরে প্রবেশ করলেই শুনতে পাবে সাধারণ মানুষের করুণ আর্তনাদ। রাজ্য সরকারের একটি সিদ্ধান্তের পর এমনটাই বলছেন সমালোচকরা।

প্রসঙ্গত, পুজোর মুখে রাজ্যের কলকাতার যে সমস্ত বস্তি রয়েছে, সেই বস্তির নতুন নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সেই কথাই জানিয়েছেন রাজ্যের পৌর এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তার বক্তব্য অনুযায়ী, রাজ্যের বস্তির নামকরণ হবে উত্তরণ। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত এই নাম ঠিক করা হয়েছে বলেই খবর। অনেকে বলছেন, এটা অত্যন্ত ভালো কথা। বস্তির উন্নতির জন্য সরকারের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু যেভাবে বাইরে থেকে এই নাম দেওয়া হলো উত্তরণ, ভেতরে সেই উত্তরণ হয়েছে তো? বস্তির আক্ষরিক অর্থে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করতে পেরেছে তো এই রাজ্য সরকার? নাকি বাইরেটা চকচকে দেখানোর জন্য একটা নামকরণ করে দিয়ে শুধুমাত্র লোক দেখানোর প্রয়াস চলছে?

বিরোধীদের দাবি, রাজ্যটা তো এই করেই চলছে। কি করে মানুষের দুঃখকে ধামাচাপা দেওয়া যায়, তার চেষ্টাই তো প্রতিমুহূর্তে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার। বস্তিবাসীর ক্ষেত্রেও সেই কৌশল প্রয়োগ করার চেষ্টা করছেন তারা। মানুষের টাকা মেরে, রাজ্যকে সর্বনাশের মুখে ঠেলে দিয়েছেন। আর বস্তির মানুষদের কান্না যাতে বাইরে না আসতে পারে, যাতে পুজোর সময় পশ্চিমবঙ্গে আসা বিদেশি পর্যটকরা বস্তির দুর্ভাগ্যকর পরিস্থিতি দেখতে না পারেন, তার জন্যই একটা নামকরণ করে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উন্নতিশীল বলে দেখানোর চেষ্টা করছে এই রাজ্য। কিন্তু এসব করে লাভের লাভ কিছুই হবে না। রাজ্য সরকারের বুজরুকি সাধারণ মানুষ ধরে ফেলেছেন। নামের সঙ্গে পরিস্থিতি সেদিনই খাপ খাবে, যেদিন প্রকৃত অর্থে বস্তির উন্নয়ন হবে। তা না হলে এইভাবে নামকরণ করে লোক দেখানো কাজ মানুষের উন্নতি বয়ে আনবে না। তাই এসব করে রাজ্য সরকার নিজেদের কবর নিজেরাই খুড়ছে বলে দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, লোক দেখানো কাজ করতে খুব বেশি ভালবাসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন একটা ভাব তিনি দেখানোর চেষ্টা করেন যে, তিনি যা ভাবেন, তা পরবর্তীতে সবাই ভাবে। কিন্তু তার দেখানো পথে চললে যে কোনো রাজ্য এবং দেশের সর্বনাশ অনিবার্য। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ অবশ্য তা অনেকদিন আগেই টের পেয়েছেন। তবে বস্তির মানুষকে নিয়েও যে এই ছেলেখেলা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার সরকার করবে, এতটা ভাবতে পারেনি বিরোধীরাও। কিন্তু “উত্তরন” নাম দিয়ে বস্তিবাসীর উন্নতি হয়ে গেল বলে যে দাবি করার চেষ্টা করছে রাজ্য, তা ঢক্কানিনাদ ছাড়া আর কিছুই নয়। এসব করে সাময়িক প্রচার পেতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বস্তির মানুষগুলো যে তিমিরে ছিল, তারা পড়ে থাকবে সেই তিমিরেই। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!