এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > পঞ্চায়েতের প্রার্থী নিয়ে তৃণমূলের গাইডলাইন মানতে গেলে ‘ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়’ মানছে দলই

পঞ্চায়েতের প্রার্থী নিয়ে তৃণমূলের গাইডলাইন মানতে গেলে ‘ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়’ মানছে দলই

পঞ্চায়েতের প্রার্থী নিয়ে তৃণমূলের গাইডলাইন মানতে গেলে ‘ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়’ মানছে দলই। গত চারদিন ধরে কলকাতার ৩৬ জি তপসিয়া রোডে দেখা যাচ্ছে সারি সারি চার চাকা। এখানেই শেষ নয় ভিড় উপচে পড়ছে শাসকদলের পার্টি অফিস ‘তৃণমূল ভবন’- এ। কারণ একটাই, কেউ এসেছে নিজের জন্য, কেউ ছেলে বৌমা, আবার কেউ নিকট কোনো আত্মীয়ের জন্য পঞ্চায়েতের টিকিট পাওয়ার আশায়। নানা মানুষের নানারকমের আর্জির ধরণ কিন্তু আর্জি সেই একটাই পঞ্চায়েত টিকিট। এ বিষয়ে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টিকে উপভোগ করার ঢঙে বলেন,”সংসার বড় হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের চাহিদা তো থাকবেই। হচ্ছেও তাই। আমরা একটা নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে প্রার্থী বাছাই করছি।”

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

গাইডলাইন বিষয়ক প্রসঙ্গে তৃণমূল সূত্রের খবর, বেশিরভাগ আসনই পূর্ব নির্ধারিত। বড়ো দুর্নীতির অভিযোগ না থাকলে গত বছরের নির্বাচিত কোনো প্রার্থীই বাদ পড়বে না। আর যে কটি আসন বাকি আছে সেগুলিতে কেবলমাত্র জনসংযোগ আছে এমন প্রার্থীদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। গাইডলাইন ১০০% সঠিক কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেতাদের বক্তব্য, ”সেটা করতে গেলে তো ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে। ফলে স্থানীয় নেতাদের চোখ দিয়ে শোনা আর কান দিয়ে দেখা ছাড়া উপায় নেই। কারণ, হাতে তো সময় খুবই অল্প!” এদিকে পর পর দুদিন দেখা মিললো ভাঙড়ের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের। ছেলে ও বৌমা দু জনকেই প্রার্থী করার প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, ”সবই দলের ইচ্ছে। আমি বলার কে।” সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের শাসকদলের অন্দরমহল বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!