এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > প্রনবের হাত ধরে কি আরএসএস রাজ্যবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য হল? প্রশ্ন সর্বত্র

প্রনবের হাত ধরে কি আরএসএস রাজ্যবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য হল? প্রশ্ন সর্বত্র


দেশের বিদায়ী রাষ্ট্রপতি তথা বঙ্গের বিশিষ্ট নেতৃত্ব প্রণব মুখোপাধ্যায়ের এদিন আরএসএসের প্রধান কার্যালয়ে(নাগপুর) ভাষণ দেওয়াকে নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। এখানে তিনি হিন্দির বদলের ইংরাজিতে বক্তব্য রাখা নিয়েও অসন্তোষের শিকার হয়েছেন অনেককেই। তবে, তাঁর এই বক্তব্য পেশ সঙ্ঘের পক্ষে হিতকর হয়েছে বলেই জানিয়েছেন আরএসএস কর্তারা। আর প্রণববাবুকে ইংরাজিতেই ভাষণ দিতে বলেছিলেন আরএসএসের আধিকারিকরা। ইংরাজিতে ভাষণের ফলে আরএসএসের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক স্তরে পৌছে দেওয়া সম্ভব হবে, এমনটাই যুক্তি ছিল তাঁর।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

প্রসঙ্গত,ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে আসছে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নাম যিনি ছিলেন হিন্দুত্ববাদের জন্মদাতা। এঁনার সংসদীয় কাজের শুরুটাও হয়েছিলো বঙ্গ থেকেই। এর পাশাপাশি উঠে আসছে মারাঠি যুবক কেশব বলিরাম হেতগেওয়াড়ের নাম। যিনি ছিলেন সঙ্গের প্রতিষ্ঠাতা। এবং এঁনার পড়াশুনোও ছিল কোলকাতার মেডিক্যাল কলেজে। এঁদের কথা মনে রেখেও কেন বঙ্গের মাটিতে কোনো হিন্দুত্ববাদী সংগঠন গড়ে উঠল না! এ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে এই বিষয়টাকেই ইস্যু করেই কি বঙ্গের সন্তান প্রণব বাবুর মতো ব্যক্তিত্বকে আন্তর্জাতিক স্তরে কাজে লাগাতে উদ্যোগ নিলেন আরএসএস আধিকারিকরা? এর উওর সরাসরি না পাওয়া গেলেও প্রণববাবু বক্তব্যেই লুকিয়ে ছিল অনেকটাই এমনটাই দাবী আরএসএসের রাজনৈতিক অভিজ্ঞমহলের।

প্রসঙ্গত আরো জানা গেছে যে, ওদিন প্রণববাবুর ভাষণ শুনতে বাংলা থেকে হাজির হয়েছিলেন বেশি কিছু বিশেষ ব্যক্তিত্বরা। এদের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন আশিস মন্ডল যিনি স্বয়ংসেবকদের প্রশিক্ষণের পর ওখানে গেছিলেন। এ ব্যাপারে পাওয়া যায় তাঁর মূল্যবান মতামতও। সাফ কথায় তিনি জানান প্রণববাবু মতো ব্যক্তিত্বের আরএসএসের ভাষণে প্রধান অতিথি হিসাবে যাওয়া এবং বক্তব্য রাখা বাংলায় সঙ্গের প্রভাব বিস্তারে অনুঘটকের কাজ করবে। বাংলার স্বয়ংসেবকরা নিজেদের মতামতে জানিয়েছেন যে, এর আগেও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা সঙ্ঘের প্রধান অতিথি হিসাবে গেছিলেন। এঁদের সাথে অনেকেরই সঙ্ঘের সরাসরি যোগাযোগ নেই। তবে এদিনের অনুষ্ঠাবে প্রণববাবুর উপস্থিতি সাড়া ফেলে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক স্তর সহ সংবাদমাধ্যমগুলোতেও। এতে বিজেপির উৎসাহ বেড়েছে প্রচুর। এই উৎসাহকে ভর করে বিজেপি রাজ্যে কতটা হিন্দুত্ববাদী কার্যকলাপ করতে পারে সেটাই দেখার। এদিন প্রণববাবুর বক্তব্যের পর সরসঙ্গচালজ মোহন ভাগবতের দীক্ষান্ত ভাষণ শুনে শিক্ষার্থীরাই রাজ্যে রাজ্যে সঙ্ঘের কর্মী প্রচারক হিসাবে কাজ করবে। এমনটাই জানান তিনি। এই সঙ্ঘের প্রচারকার্যে অংশগ্রগণ করেছিলেন একসময় মোদীজি এবং অমিতশাহরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!