এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বেড়েছে কর্মসংস্থান, বেকারত্ব কমেছে ৪০% আগামী দুবছরে ১২ লক্ষ চাকরির: মুখ্যমন্ত্রী

বেড়েছে কর্মসংস্থান, বেকারত্ব কমেছে ৪০% আগামী দুবছরে ১২ লক্ষ চাকরির: মুখ্যমন্ত্রী


লোকসভা ভোটের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের ক্রমবর্ধমান কর্মসংস্থানের খতিয়ান তুলে ধরলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীরা যতই রাজ্যে চাকরি নেই বলে সরব হোক না কেন,নেত্রীর দাবী আগের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের বেকারত্ব ৪০% কমেছে। ১০০ দিনের কাজ,ক্ষুদ্র-কুটির শিল্প সহ বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে তৃনমূল সরকারের আমলে,যার ফলে রাজ্যে কাজের সুযোগ বেড়েছে।

সমবায় ব্যাঙ্কগুলোকে চাঙ্গা করেছেন নেত্রী,যার মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য পাচ্ছেন স্বনির্ভর বিভিন্ন গোষ্ঠীগুলো। বাম জামানায় এরকম সুযোগ ছিল না। কারণ পূর্বতন রাজ্যসরকারের কর্মসংস্থান নিয়ে মাথাব্যাথা ছিল না। কিন্তু বর্তমান সরকার নিয়োগ কর্তাদের চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এমনটাই বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে দাবী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং আগামী দু’বছরে রাজ্যের ১২ লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি দেওয়ার ঘোষণাও করলেন নেত্রী।

সভায় হাজির রাজ্যের কারিগরি শিক্ষামন্ত্রীও একইভাবে রাজ্যের কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে মমতা-সরকারের সাফল্যের জয়গান গাইলেন। বললেন,রাজ্যের বেকার ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন কাজে দক্ষতা বাড়াতে রাজ্যসরকারের উদ্যোগে চালু করা হয়েছে উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্প। সেই প্রকল্পের উপকারিতা বুঝেই তিন মাসের মধ্যেই রাজ্যের ১ লক্ষ ৫৭ হাজার প্রার্থী সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে নাম নথিভুুক্ত করেছেন।

৪০০’র ও বেশি সংস্থা এইসব আগ্রহী প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে এগিয়ে এসেছে। এর সঙ্গে তিনি ঘোষণা করলেন পশ্চিমবঙ্গ স্কিল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির অধীনে বেসরকারি প্রশিক্ষণ সংস্থার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নেওয়া গরীব ছেলেমেয়েদের টিফিন বাবাদও রোজ ৫০ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যসরকার। কারণ পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে,সাধারণত আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পরিবারের ছেলেমেয়েরাই এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিতে এগিয়ে এসেছে। তাই তাঁদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে টিফিন বাবাদ খরচের ব্যবস্থা করেছে রাজ্যসরকার।

প্রশ্নোত্তর পর্বে কার্শিয়াংয়ের বিধায়ক রোহিত শর্মা জানান,তাঁর বিধানসভা এলাকায় একটি মাত্র আইটিআই প্রতিষ্ঠান শিক্ষকের অভাবে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। শিক্ষক কমতে কমতে মাত্র ৪ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। যে কজন রয়েছেন সবাই অস্থায়ী শিক্ষক। এই প্রক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী কারিগরি শিক্ষামন্ত্রীকে নির্দেশ দিলেন অবিলম্বে ওই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ করতে।

অন্য একটি প্রসঙ্গে বিভাগীয় মন্ত্রী জানান সাধারণত কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দৈনিক ছ’ঘন্টা করে প্রশিক্ষণ বাঁধা থাকে। কিন্তু সেক্ষেত্রে সমস্যা হল,কৃষক পরিবার থেকে আসা ছেলেমেয়েরা অনেকক্ষেত্রেই দিনে এতোটা সময় দিতে পারে না। এই সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়েই দৈনিক প্রশিক্ষণের নির্দিষ্ট সময়সীমা ২ ঘন্টা করে কমিয়ে দেওয়ার ভাবনাচিন্তা চলছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এক্ষেত্রে হয়তো পুরো কোর্স শেষ করতে সময় বেশি লাগবে,তবুও শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা মাথায় রেখেই প্রতিদিনের দীর্ঘক্ষণের প্রশিক্ষণের সময়সীমা কমানো হল। এর ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত একঘেয়েমি আসবে না বলেও মনে করছেন কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!