এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > বোর্ড গঠনে অশান্তি! অস্ত্র দিয়ে পুলিশকে কোপানোর অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে! উত্তপ্ত ঝাড়গ্রাম

বোর্ড গঠনে অশান্তি! অস্ত্র দিয়ে পুলিশকে কোপানোর অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে! উত্তপ্ত ঝাড়গ্রাম


চলতি মাসের ২৬ তারিখ প্রশাসনিক বৈঠকের উদ্দেশ্য ঝাড়গ্রাম যাওয়ার কথা। আর তার আগেই অশান্ত অবস্থা ঝাড়গ্রামের! গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বাড়ল ঝাড়গ্রাম ব্লকের নেদাবহড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। এবং পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে গিয়ে বিজেপির আক্রোশের শিকার হল স্থানীয় পুলিশ কর্মীরা।

এমনকি ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে পুলিশ গাড়িও। ধারালো অস্ত্র নিয়ে পুলিশ কর্মীদেী আক্রমণ করা হয়েছে,এমনটাই অভিযোগ উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে বাণেশ্বর প্রামাণিক নামে এক পুলিশ কর্মী গুরুতর আহত অবস্থায় আপাতত ভর্তি রয়েছেন ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।

ঘটনায় মোট ৪ জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছে। এই হিংসাত্মক ঘটনার জন্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আট জনকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এলাকায় পিকেটিং চলছে,এমনটাই জানালেন ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত পুলিস সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো।

স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম ব্লকের নেদাবহড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ৬টি আসনেইজয়ী হয়েছিল বিজেপি। পরে মিঠুন মান্ডি ও সোমবারি মুর্মু নামে দুই সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। তবে দিনকয়েক আগে বিজেপি সদস্য বিষ্টু সিংয়ের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনার জেরে আইনশৃঙ্খলা অবনতির কারণ দেখিয়ে দীর্ঘদিন ওই সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতে বোর্ডগঠন স্থগিত রাখে প্রশাসন।

এদিন এই বোর্ডগঠনকে সামনে রেখেই পঞ্চায়েত অফিসে জমায়েত হন বিজেপির প্রায় কয়েকশো কর্মী। ছিলেন জয়ী ওই ছয় সদস্যও। বিজেপির তরফ থেকে মণিদীপা মাহাতো প্রধান এবং দেবেন বাস্কে উপপ্রধান হন। এরপর পুলিশ মিঠুন মান্ডি,সোমবারি মুর্মু সহ তৃণমূলের সাতজনকে একটি গাড়িতে চাপিয়ে এলাকা থেকে বের করছিল।

এই সময় হঠাৎ করেই লাঠি এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে তৃণমূল কর্মী এবং দুই সদস্যের উপর চড়াও হন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশ তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে বিজেপির হামলার শিকার হন। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাণেশ্বর প্রমাণিক নামে এক হোমগার্ডের পেটে কোপ মারে। এছাড়াও আহত হন পুলিশের আরো তিনজন কর্মী। সেসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে পুলিশের লাঠির আঘাতে বিজেপির এক সদস্য উপেন সিংও জখম হন। তিনিও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এই ঘটনার প্রতিবাদে ঝাড়গ্রাম ব্লক তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ মাহাতো জানান,বিজেপি শান্ত জঙ্গলমহলকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তৃণমূল থাকতে সে কাজে তাঁরা কিছুতেই সফল হবে না। তবে বিজেপির বক্তব্য আবার আলাদা। তাঁদের দাবী,পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকেই তৃণমূল এলাকার প্রাক্তন মাওবাদীদের মদত নিয়ে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যদের বাড়িতে বোমাবাজি করছিল,হুমকি দিচ্ছিল।

এ অভিযোগ পুলিশকেও জানানো হয়েছিল,তবে তাঁরা কোনো পদক্ষেপ নেননি। এদিনের হিংসাত্মক ঘটনায় বিজেপি কোনোভাবেই জড়িত নয়,এমনটাই দাবী গেরুয়াশিবিরের। তাঁদের বক্তব্য,প্রাক্তণ মাওবাদীরাই তৃণমূলে যোগ দেওয়া দু’জন সদস্যকে সঙ্গে করে পঞ্চায়েতে এসেছিল আর সেটাকে কেন্দ্র করেই আশান্তি হয়েছে। এ প্রসঙ্গপ বিজেপির জেলা সভাপতি সুখময় শতপথীরও একই বক্তব্য।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

পুলিশ আগে থেকে সতর্ক হলে এমনটা হতো না বলেই দাবীতে জানালেন তিনি। তবে কোনোভাবেই পুলিশকে মারধোর এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাকে সমর্থন করছেন না তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর জেলায় আসার অপেক্ষা করছেন ঝাড়গ্রামবাসী। উক্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে নেত্রী কী পদক্ষেপ নেবেন,সেটা জানতেই উৎসাহী তাঁরা,এমনটাই খবর জেলা সূত্রের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!