এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রার্থী তালিকায় না থাকলেও এবার দলের তরফ থেকে বড়সড় দায়িত্ব তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ককে

প্রার্থী তালিকায় না থাকলেও এবার দলের তরফ থেকে বড়সড় দায়িত্ব তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ককে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের শুরু থেকেই তৃণমূল শিবিরে বেসুরো নেতাদের অভাব ছিলনা। তারমধ্যে ভোটের সময় তৃণমূল সুপ্রিমো বেশ কয়েকজনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ আরো বাড়ে। অনেকেই তৃণমূলে থেকেও সেসময় নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। এবং সেক্ষেত্রে নাম উঠে এসেছিল অশোকনগর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক ধীমান রায়ের। দীর্ঘদিনের কর্মী ধীমান রায় কিছুটা যে অভিমানী হয়ে উঠেছিলেন দলের প্রতি তা বলাইবাহুল্য। কিন্তু দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকার পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁকে এবার সংগঠনের গুরুদায়িত্ব দেওয়া হলো।

জানা গিয়েছে, রাজ্য তৃণমূলের সাংগঠনিক কার্যকরী সম্পাদক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে ধীমান রায়কে। এবং তারপরেই তিনি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে রীতিমতো তৃণমূল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে অশোকনগর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রথমে ধীমান রায়ের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু নাম ঘোষণার ঠিক 15 দিনের মধ্যেই সেখানকার প্রার্থী বদল হয়। এরপর থেকে এলাকার পরিচিত তৃণমূল নেতা ধীমান রায়কে আর কোথাও তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রচারে দেখা যায়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অবশেষে তিনি সামনে এলেন সোমবার তৃণমূলের রাজ্য সংগঠন কার্যকরী সম্পাদক হিসেবে। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ধীমান রায় জানান, ভোটের সময় তাঁকে দল থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ব্যারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থী রাজ চক্রবর্তীর হয়ে প্রচারে যাওয়ার। তিনি দলের সেই নির্দেশ পালন করেছিলেন। তবে ভোট হয়ে যাওয়ার পর এতদিন তিনি বাড়িতেই ছিলেন বলে জানান। পাশাপাশি তিনি জানান, আগামী শুক্রবার থেকে অশোকনগর দলীয় কার্যালয়ে তিনি প্রতিদিন সকাল 11:30 থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত থাকবেন।

পাশাপাশি তিনি জানান, দায়িত্ব দেওয়ার পর দল তাঁকে যে নির্দেশ দেবে, তিনি সেই নির্দেশ পালন করে যাবেন। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, তৃণমূলের অন্দরে বর্তমানে কাউকেই দূরে সরিয়ে রাখা হচ্ছেনা। বরং দলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে যারা একসময় কাজ করেছেন, তাঁদেরকে নিষ্ক্রিয় অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। সেরকমই একজন হলেন ধীমান রায়। আপাতত দেখার, দলের সাংগঠনিক কার্যকরী সম্পাদক হিসেবে তিনি কতটা উপযুক্ত।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!