এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে হেভিওয়েট তৃণমূল শীর্ষনেতার! পিকের বৈঠকে অনুপস্থিতি ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে!

দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে হেভিওয়েট তৃণমূল শীর্ষনেতার! পিকের বৈঠকে অনুপস্থিতি ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে!

রাজনীতি বড়ই অদ্ভুত জিনিস। যদি কোনো একজন ব্যক্তিত্ব কোনো একটি দলের বিশিষ্ট নেতা হন এবং তিনি যদি কোনো একটি কারণে কিছুদিন সেই জগৎ থেকে বিরত থাকেন, তাহলে তাকে নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়। তবে সেই গুঞ্জন হওয়াটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই হল‌। দীর্ঘদিন ধরেই দলের কোনো কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছিল না বহরমপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নীলরতন আঢ্যকে। পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে যখন কার্যত প্রস্তুত গোটা তৃণমূল কংগ্রেস, যখন প্রশান্ত কিশোরের টিমের নজরে পড়ছেন তৃণমূলের প্রতিটি কাউন্সিলর, তখন দীর্ঘদিন ধরেই দলের কর্মসূচিতে অনুপস্থিত নীলরতন আঢ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা।

তবে সেই জল্পনা আরও বৃদ্ধি পায়, যখন পৌরভোটের রণকৌশল নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের টিমের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং সেই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায় সেই নীলরতনবাবুকে। মূলত পৌর নির্বাচনে যে কোন পৌরসভার চেয়ারম্যানই প্রধান। ফলে সেদিক থেকে প্রশান্ত কিশোরের টিম বহরমপুরে এসে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেও, সেই বৈঠকে কেন অনুপস্থিত থাকলেন বহরমপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। তাহলে কি দল থেকে ক্রমশ নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন নীলরতন আঢ্য!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অসুস্থতার কারণে দলের দুই একটি সভায় উপস্থিত থাকতে পারিনি। তবে প্রশান্ত কিশোরের টিম জেলায় যে আসছে, তা আগে থেকে কেউ আমায় জানায়নি। ওই দলের দুজন সদস্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। ওরা যা যা জানতে চেয়েছেন, আমি তাদের সেই তথ্য দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি।” কিন্তু শহরে প্রশান্ত কিশোরের টিম এসে এত বড় বৈঠক করলেন, অথচ তিনি জানলেন না, এটা কি সম্ভব! অনেকে বলছেন, এককালে কংগ্রেস করতেন এই নীলরতন আঢ্য। গত 2017 সালের মাঝামাঝি সময় কংগ্রেস ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন তিনি।

বস্তুত, বহরমপুর টাউন তৃণমূল সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই তার বিবাদ প্রকাশ্যে চলে আসে। সম্প্রতি নানা কারণে দলের কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতে দেখা যায় বহরমপুর পৌরসভার তৃণমূলের বিদায়ী চেয়ারম্যান নীলরতন আঢ্যকে। আর এবার পিকের টিম জেলায় আসা সত্ত্বেও তাঁর অনুপস্থিতি সেই নাড়ুগোপালবাবুর সঙ্গে তার বিবাদকেই সামনে নিয়ে এলো বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

এদিন এই প্রসঙ্গে নীলরতন আঢ্য বলেন, “প্রত্যেকের একটা আত্মসম্মান আছে। শহরে উন্নয়নকে লক্ষ্য করে আমরা এই দলে এসেছিলাম। কিন্তু বোর্ড শেষ হওয়ার পর নেতৃত্ব আমাদের সঙ্গে কোনরকম যোগাযোগ করেনি। আমরা অসম্মানিত হয়েছি। দলের শহর সভাপতি ইদানিং যেভাবে আমাকে আক্রমণ করেছেন, তার কোনো সমাধান জেলা নেতৃত্বের কাছ থেকে চেয়েও পাইনি। এর পরেও বলবেন, কোনো অভিমান হবে না।” আর বহরমপুর পৌরসভার তৃণমূলের বিদায়ী চেয়ারম্যানের একথা থেকেই স্পষ্ট যে, শারীরিক অসুস্থতার থেকেও তার এই বৈঠকে না থাকার সব থেকে বড় কারণ, শহর তৃণমূলের সভাপতির সাথে তার বনিবনা না হওয়া। কিন্তু বিদায়ী চেয়ারম্যান যদি এরকম করেন, তাহলে কি তাদের সংগঠনের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসবে না!

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, “নীলরতনবাবু অসুস্থ থাকায় দলীয় বৈঠকে আসতে পারেননি। পৌরসভা নিয়ে কোনো বৈঠক এখনও হয়নি। বৈঠক হলেই ওনাকে ডাকা হবে।” তবে তাহের সাহেব যে কথাই বলুন না কেন, পৌরসভা নির্বাচনের আগে বহরমপুরে যে ঘটনা ঘটল, তা যে তৃণমূলকে খুব একটা স্বস্তি দেবে না, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। এখন বিদায়ী চেয়ারম্যানের মান ভাঙাতে তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ করা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!