এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > প্রচারে আসা প্রার্থীদের মুখে মাস্ক নেই, করোনার বাড়বাড়ন্তে রাজনৈতিক দলের উদাসীনতায় ভোটের আগে চিন্তা বাড়ছে আমজনতার

প্রচারে আসা প্রার্থীদের মুখে মাস্ক নেই, করোনার বাড়বাড়ন্তে রাজনৈতিক দলের উদাসীনতায় ভোটের আগে চিন্তা বাড়ছে আমজনতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘ এক বছর করোনাকে সাথে নিয়ে চলার পর অবশেষে করোনা থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে রাজ্যে এসেছে করোনার প্রতিষেধক। ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণীর মধ্যে। কিন্তু তারই মধ্যে রাজ্যে এসে হাজির হয়েছে করোনার দ্বিতীয় স্ট্রেইন। সুতরাং চিকিৎসকরা এখনো করোনার আশঙ্কা পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলতে পারছেননা। নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে রাজ্যজুড়ে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে বিশেষজ্ঞরা অত্যন্ত সাবধানে থাকার কথা বলছেন। কিন্তু রাজ্য জুড়ে চলছে ভোটের লড়াই এবং সেই লড়াইয়ের উত্তাপের কাছে করোনার আতঙ্ক কিছুই নয় বলে মনে করা হচ্ছে।

বর্তমানে প্রায় প্রত্যেককেই মাস্ক ছাড়া দেখা যাচ্ছে। বেশিরভাগ প্রার্থী, তাঁদের সমর্থকরা, অনুগামীরা প্রচার চালাচ্ছেন, সভা জমায়েতে হাজির হচ্ছেন। কিন্তু কোথাও মাস্কের ব্যবহার নেই। ফলস্বরূপ চিকিৎসকরা নির্বাচন শেষে কিংবা তার আগেই নতুন করে করোনা ছড়ানোর ব্যাপক আশঙ্কা করছেন। তাঁদের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চললে নতুন করে রাজ্য করোনা আক্রান্ত হবে। গত সাত দিনে বর্ধমান দক্ষিণে নতুন করে নয়জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এমনিতেই সাধারণ মানুষের মধ্যে খুব কমজনকেই দেখা যাচ্ছে মাস্ক ব্যবহার করতে। একইসাথে বেশিরভাগ প্রার্থী মাস্ক ছাড়াই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন বলে দেখা যাচ্ছে।

চিকিৎসকদের আশঙ্কা, ভোট প্রার্থীদের মধ্যেই করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা সবথেকে বেশি। কারণ তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন, সভা ও মিছিল করছেন। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক সভায় দূরত্ব বিধি মেনে চলা এবং বারবার হাত ধোয়ার ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এ প্রসঙ্গে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক সন্দীপ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন বের হলেও মানুষকে অত্যন্ত নিয়মের মধ্যে সাবধানতা অবলম্বন করে থাকতে হবে, প্রত্যেককে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, হাত ধুতে হবে, ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। এদিন তিনি সতর্কবার্তা দিয়েছেন এখন থেকে নিয়ম না মানলে ভোটের পরে কিন্তু অত্যন্ত ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বাংলায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও বেশ কিছু করোনা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, দূরত্ব মেনে চলার ওপর জোর দিচ্ছেন তাঁরা। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রকে জীবাণুমুক্ত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে হেলায় উড়িয়ে দিয়ে কোন দলের প্রার্থীর মুখেই মাস্ক দেখা যাচ্ছেনা। যদিও বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী খোকন দাস জানিয়েছেন, তিনি মাস্ক পরে বের হচ্ছেন। তবে কখনো কখনো মাস্ক খুলতে হচ্ছে। একই সাথে ওই কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী পৃথা তাও জানিয়েছেন, তিনিও করোনাবিধি মেনে প্রচার চালাবেন।

বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা। সব মিলিয়ে রাজ্যের ভোটের উত্তাপের সাথে করোনা আতঙ্কও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দেশের অনেক জায়গাতেই করোনার বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশের অনেক জায়গায় শুরু হয়েছে লকডাউন। এরকম পরিস্থিতি যাতে এ রাজ্যে আর না আসে, তার জন্য বারবার বলা হচ্ছে সাবধান থাকার জন্য, সেক্ষেত্রে ভোটপ্রার্থীদের বিশেষভাবে সাবধান থাকার কথা বলা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাবধানতা এবং সচেতনতাই পরিস্থিতি ঠিক রাখবে। কিন্ত ভোটপ্রার্থীরা কি আদৌ এই পরিস্থিতির তোয়াক্কা করছেন, থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!