এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > প্রাথমিক শিক্ষক এখন শিক্ষা পর্ষদ সভাপতির ছাতা ধরা, তুমুল হইচই শিক্ষা মহলে

প্রাথমিক শিক্ষক এখন শিক্ষা পর্ষদ সভাপতির ছাতা ধরা, তুমুল হইচই শিক্ষা মহলে

এদিন আলিপুরদুয়ারের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে চোখ কপালে ওঠার মতো নজির সামনে এল। দেখা গেলো অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের মাথায় ছাতা (গার্ডেন ছাতা) ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক শিক্ষক। আর ছাত্রছাত্রীরা রোদে দাঁড়িয়ে তাকে অভিবাদন জানাচ্ছে। ছাতার তলায় দাঁড়িয়ে হাত তুলে সে অভিবাদন গ্রহনও করতে দেখা গেল তাঁকে।

এধরণের ছবি দেখে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় উপস্থিত অনেকের মধ্যেই গুঞ্জন শুরু হতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠে যায় নিন্দুকমহলে। কারো মতে,মানিক বাবু অসুস্থ! কেউ আবার এই ধরণের আচরণকে ঔদ্ধত্য বলেই ব্যাখ্যা করেছেন। কেউ আবার সরাসরি ক্ষোভ জাহির করে প্রশ্ন তুলেছেন, ক্ষুদে পড়ুয়াদের কাঠফাটা রোদে দাঁড় করিয়ে রেখে মানিকবাবু নিজে কীভাবে ছাতার তলায় রয়েছেন? এধরণের আচরণকে ‘অমানবিক’ বলেই ব্যাখ্যা করেছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই। তার থেকেও বড় কথা হলো একজন প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদ সভাপতির মাথায় ছাতা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন আর সেটা পর্ষদ সভাপতি সাদরে গ্রহণ করছেন। শিক্ষকমহলে এ প্রশ্নও উঠেছে যে তবে কি প্রাথমিক শিক্ষকরা কি পর্ষদ সভাপতির কাজের লোক?

সূত্রের খবর,পর্ষদ সভাপতির মাথায় যিনি ছাতা ধরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি অভিজিৎ কুন্ডু। বয়স ৩০-৩২ এর এই যুবক  আলিপুরদুয়ার টাউন সার্কেল তপসিখাতা প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। মানিক বাবুর মাথায় ছাতা ধরার কারণ তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলে জবাবে তিনি জানান, “উনি খুব অসুস্থ। তাই, এক আধিকারিক আমাকে ছাতা ধরার নির্দেশ দিয়েছেন।” এটা শুনে বিদ্রূপ,ঠাট্টার রোল উঠে যায় সমালোচকদের মধ্যে। অনেকেই কটাক্ষ করে এই প্রেক্ষিতে বলেন, জমিদারী শাসনকাল ফিরে এল নাকি! কারণ সেই জমিদাররাজেই স্তাবকদের জমিদারদের মাথায় এভাবে ছাতা ধরতে দেখা যেতো। সেই আগেকার দিনের ছবি আরো একবার দেখা গেল আলিপুরদুয়ারের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে।

 

তবে এদিনের ছাতা বিতর্ক এতোটাই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল যে তার নীচেই চাপা পড়ে গেল শিক্ষকদের আরো এক লজ্জাজনক ‘কীর্তি’। জুতো পড়েই তারা এদিন সার্কেলের পতাকা নির্দ্বিধায় উত্তোলন করেছেন। এই নিয়মবিরুদ্ধ রীতি দেখেও মুখ হাঁ হয়ে গিয়েছে অনেকেরই।

এই নজিরের সমালোচনা করে অনেকেই বলেছেন,জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় ভাগ্যিস জুতোটা খুলেছিলেন ওঁরা ! তবে ছাতা বিতর্ক নিয়ে একদমই মুখ খুলতে চাননি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী। মানিক বাবু সত্যিই অসুস্থ ছিলেন,এমনটাই জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সংসদ।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে যাকে নিয়ে এতো বিতর্ক সেই মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেই এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তিনি আদেও অসুস্থ ছিলেন নাকি ইচ্ছেবশত এমন কাজটি করা হয়েছে এটা স্পষ্টভাবে প্রমাণ না হওয়ায় গোটা ঘটনাটা নিয়েই তীব্র চর্চা শুরু হয়েছে সমালোচকমহলে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!