এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রহসনের ভোটে শুভেন্দুর জেলায় জয় ঘাসফুলের ! এবার কি থামবে রক্তলীলা !

প্রহসনের ভোটে শুভেন্দুর জেলায় জয় ঘাসফুলের ! এবার কি থামবে রক্তলীলা !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজয় কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চেষ্টা করছিলেন, কিভাবে এর বদলা নেওয়া যায়! তবে শুভেন্দু অধিকারীও যে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়, রাজনৈতিকভাবে তিনি বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন। তবে নিজের হাতে থাকা নির্বাচন কমিশনার থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কার্যত গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করেছে শাসকদল। তবে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া থেকে শুরু করে সেই জেলায় একাধিক জায়গায় তৃণমূলের জয় লাভ কি শান্ত করলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলকে!

পুলিশ প্রশাসন দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মী থেকে শুরু করে বিজেপি প্রার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরে জয় পাওয়ার পর কি সেই হামলার লীলা বন্ধ করবে তৃণমূল কংগ্রেস! বিপুল ক্ষমতা পাওয়ার পর অন্তত সেই হিংসা বন্ধ হলে বিরোধী নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরতে পারবে। কিন্তু তবুও ক্ষমতা নিজেদের হাতেই রাখুক তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বিরোধীদের অন্তত গণতান্ত্রিকভাবে শান্তিতে থাকতে দিক, বর্তমানে এমনটাই চাইছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারপরেই শাসক দল দাবি করতে শুরু করেছে, শুভেন্দু অধিকারী তাদের কাছে কোনো ফ্যাক্টর নয়। বিরোধী দলনেতার জেলায় তাকে এক ঘরে করে দিয়ে তৃণমূল প্রমান করছে যে, এখানে একমাত্র ফ্যাক্টর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরদিকে শুভেন্দুবাবুও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। তিনি সকাল থেকেই দাবি করেছেন, এই নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে। তাই এর ফলাফল নিয়ে তিনি বিন্দুমাত্র ভাবিত নন।

তবে পূর্ব মেদিনীপুর অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় ক্ষমতা পাওয়ার পর কি এবার হিংসা লীলা থামাবে রাজ্যের শাসক দল! এটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে। কেননা পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের বাহিনীরা যে পরিমাণ সন্ত্রাস চালিয়েছে বিরোধীদের ওপর, তাতে সকলেই ভীত এবং সন্ত্রস্ত। তাই শুভেন্দু অধিকারী এবং তার ঘনিষ্ঠরাও চাইছেন, ক্ষমতা পেলে তৃণমূল পাক। তবুও বিরোধী নেতাকর্মীদের যেন মৃত্যুমুখী ঠেলে দেওয়া না হয়। তারা যদি ক্ষমতা নিয়ে শান্ত থাকতে চায়, তাহলে তারাই পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদে থাকুক। কিভাবে মানুষের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে কণ্ঠরোধ করা হয়েছে, কিভাবে ভোটকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে, কিভাবে গণতন্ত্রকে গণনা কেন্দ্রে লুট করা হয়েছে, তা খুব ভালো করেই জানেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী লোকসভায় এর ফলাফল পাবে রাজ্যের শাসক দল।

তবে যে হিংসা শুরু হয়েছে, তাতে নিজের দলের কর্মীদের আগলে রাখাই এখন বড় গুরু দায়িত্ব রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কাছে। তাই তিনিও চাইছেন, পঞ্চায়েতে সর্বগ্রাসী তৃণমূল যদি সব আসনে জয়লাভ করে এই রক্ত এবং হিংসার লীলা থামায়, তাতেও তিনি খুশি। কারণ তিনি ক্ষমতার বিনিময়ে সাধারণ মানুষের জীবন চান না। তিনি চান, সুষ্ঠু নির্বাচন। তিনি চান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেন কোনোদিন কোনো হিংসা না হয়। তবে তৃণমূল এখন ক্ষমতা দখল করে যেভাবে মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার খেলায় নেমেছে তা যে ভবিষ্যতের তৃণমূলকে বড় বিপদের মুখে ফেলবে ইতিমধ্যেই সেই হুংকার ছেড়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। জানিয়ে দিয়েছেন, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!