রাজ্যপালকে নিয়ে ভয়াবহ উক্তি, আর কত নিচে নামবে তৃণমূল! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য July 12, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে পরিমাণ হিংসা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। আর তাতেই গাত্রদাহ হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নেতা, নেত্রীরা রাজ্যপালকে বিজেপির দালাল বলে কটাক্ষ করেছেন। আর এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়ে রাজ্যপালকে বেনজির আক্রমণ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস। তার কটাক্ষ, রাজ্যে বিজেপির কোনো নেতা নেই। তাই সেই শূন্যস্থান পূরণ করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল। তবে একজন সাংবিধানিক প্রধানকে এভাবে কোনো একটি রাজনৈতিক দলের নেতা বলে আদৌ কি আক্রমণ করা যায়! তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তবে তৃণমূলের কাছে এর থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না বলে পাল্টা দাবি বিরোধীদের। প্রসঙ্গত, গণনার দিনেও রাজ্যের হিংসা নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যপাল। কড়া মনোভাব পোষণ করেছেন তিনি। আর তাতেই রীতিমত ক্ষেপে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এতদিন তৃণমূল নেতারা বলতেন, রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। আর এবার একেবারে রাজ্যপালকে “বিজেপির নেতা” সম্বোধনে “শূন্যস্থান পূরণ করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে” বলে মন্তব্য করে বসলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। আর এখানেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আর কত নিচে নামবে রাজ্যের শাসক দল! এর আগেও যখন বর্তমানে দেশের উপরাষ্ট্রপতি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলেন, তখন তাকে বিভিন্ন ভাষায় আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সাংবিধানিক প্রধান হিংসা আটকাতে গেলেই তা যদি শাসকদলের বিরুদ্ধে চলে যায়, তাহলেই তারা কোন চেয়ারের তোয়াক্কা না করে তাকে আক্রমণ করতে শুরু করবেন। এতদিন তাদের আক্রমণের একটা সীমাবদ্ধতা ছিল। তবে এবার অরূপ বিশ্বাস সরাসরি রাজ্যপালকে বিজেপির নেতা বলে বিজেপি দলের শূন্যস্থান পূরণের চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল বলে মন্তব্য করলেন। অনেকে আবার বলছেন, তৃণমূলের মধ্যে রাজ্যপালকে আক্রমণ করার প্রতিযোগিতা চলছে। কে বেশি আক্রমণ করে প্রথম সারিতে উঠে আসতে পারে, তা নিয়ে কম্পিটিশন শুরু হয়েছে। আর সেই কারণেই অরূপ বিশ্বাস দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দৃষ্টি আকর্ষণ করে গুরুত্ব পেতে রাজ্যপালকে বিজেপির নেতা বলে সংবিধানকে রীতিমতো অমান্য করলেন। যাকে দুর্ভাগ্যজনক বলেই আখ্যা দিচ্ছে বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -