এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > অভিষেক ব্যানার্জির সভা দেখে বিজেপি আতঙ্কিত, তাই সন্ত্রাস করছে, দাবি তৃণমূল মন্ত্রীর

অভিষেক ব্যানার্জির সভা দেখে বিজেপি আতঙ্কিত, তাই সন্ত্রাস করছে, দাবি তৃণমূল মন্ত্রীর

কর্মীরা অভিযোগের তীর গেরুয়া শিবিরের দিকে। এবার ঘটনাস্থল পুরুলিয়ার বরাবাজার এলাকা এবং মৃত ব্যক্তির নাম আদিত্য সিং মল্ল (৫২)। রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে জানা যাচ্ছে, এদিন রাতে বরাবাজারের রাজাপাড়ায় তৃণমূল যুব কার্যালয়ের দলীয় বৈঠক সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আদিত্য সিং মল্ল। সঙ্গে ছিল ছেলে প্রসেনজিৎ সিং মল্ল। অভিযোগ পথেই তাঁরা দেখেন মুখে ‘জয় শ্রী রাম’ বুলি নিয়ে ৬ টি বাইকে চেপে প্রায় ১৫ থেকে ১৮ জন ধেয়ে আসছে তাঁদের দিকে। দুষ্কৃতিরা প্রথমে প্রসেনজিৎ সিং মল্লকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারতে গেলে বার আদিত্যবাবু বাধা দিতে এগিয়ে যান। তাতেই ঘটে বিপত্তি। বুকে এলোপাথাড়ি লাথি পড়ে তাঁর। তাছাড়া ছিঁড়ে ফেলা হয় দলের কার্যালয়ে থাকা ঘাসফুলের পোস্টার,ব্যানার,ফেস্টুন সব। বাইকবাহিনী পালিয়ে যায় ঘটনাস্থলে তৃণমূল কর্মী এবং সমর্থকরা ছুটে এলে। জানা গেছে সঙ্গে সঙ্গেই আদিত্যবাবুকে নিয়ে ঝাড়খন্ডের জামসেদপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন দলীয় কর্মীরা। কিন্তু বাঁচানো যায়নি আদিত্য সিং মল্লকে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

আরো জানা গেছে, ঘটনাস্থলে বাইকবাহিনীর ক্ষোভের মুখে পড়ে আক্রান্ত হন বরাবাজার থানার দুজন পুলিশকর্মচারী। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে ৫ টি মোটরবাইক সহ লোহার রড, ধারালো অস্ত্র এবং লাঠিসোটা। এই ঘটনার জেরে এলাকা ৫ জন বিজেপির হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের ভিতর জনার্দন সিং মোদক এবং চন্দন কৈবর্ত এবারের ভোটের পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি প্রার্থী। এদিন পুরুলিয়া আদালতে অভিযুক্তদের তোলা হলে ১৪ দিনের কারাবাসের সাজা হয় তাঁদের। পুরুলিয়ার পুলিশসুপার জয় বিশ্বাস এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জানানা, “তৃণমূল- বিজেপির একটা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।মামলা রজু করা হয়েছ। একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। তদন্ত চলছে।” তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি তথা পশ্চিমাঞ্চলল উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, “বরাবাজারে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা দেখে বিজেপি আতঙ্কিত। তাই এভাবে সন্ত্রাস চালানোর চেষ্টা করছে। সাধারন মানুষ এর জবাব ব্যালটে দেবেন।” বিজেপি অবশ্য এইসব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবী করেছে। পুরুলিয়া বিজেপি জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগট চক্রবর্তী পাল্টা সুর টেনে বলেন, “প্রচারকে কেন্দ্র করে এই ঝামেলা হয়। যিনি মারা গিয়েছেন তিনি আগে থেকেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।” এদিকে জানা যাচ্ছে উক্ত ঘটনার জন্য গোটা এলাকাই এখন ভয়ে থরহরিকম্প।অভিযোগ উঠেছে যে ঝাড়খন্ডের এই বাইকবাহিনী নাকি শাসানি দিয়ে বেড়াচ্ছে বরাবাজার গ্রামপঞ্চায়েতের নারায়ণপুর,পাততোড়িয়া,মতিরামডি এলাকার তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!