ভোটের দিন ও নিরাপত্তা পঞ্চায়েত মামলার ফয়সালা কি আগামীকাল দুপুরেই হয়ে যাবে? বিশেষ খবর রাজ্য May 9, 2018 আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটকর্মী হিসাবে অংশগ্রহণকারী সরকারি কর্মচারী ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা করার জন্য বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীলের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে। দেবাশিসবাবুর সওয়ালের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেন ভোট হতে চলা রাজ্যের প্রতিটি বুথের বুথচিত্র অনুসারে (সাধারণ, স্পর্শকাতর, অতি স্পর্শকাতর) রাজ্য সরকার কি ব্যবস্থা নিচ্ছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ হলফনামা আকারে আদালতে জমা দিতে। এই মামলায় আগের দিনই এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা থাকলেও রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আরো সময় চান আদালতের কাছে। তিনি আদালতকে জানিয়েছিলেন রাজ্য প্রশাসনের তরফে এক গোপন রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। গতকাল আদালতের কাজ শুরু হতেই সকাল ১০:৩০ টায় দেবাশিসবাবুর করা এই গুরুত্ত্বপূর্ন মামলার শুনানি শুরু হয়, তবে এই মামলায় আরেক আবেদনকারী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সওয়াল প্রথমে শোনেন বিচারপতিরা। মধ্যাহ্নভোজনের পর দেবাশিসবাবুর আইনজীবির বক্তব্য শোনেন বিচারপতিরা। গতকাল শুনানির শেষে এই প্রসঙ্গে প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফে দেবাশিসবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আদালত নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি করা হচ্ছে তা হলফনামা আকারে জমা দিতে বললেও, অ্যাডভোকেট জেনারেল তা সাধারণ কাগজে জমা দেন। রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে প্রতি বুথে একজন করে সশস্ত্র ও একজন করে লাঠিধারী পুলিশ দেওয়া হবে। আর ভোটকর্মীদের পাহারা দিয়ে বুথে পৌঁছে দেওয়া হবে বা বুথ থেকে নিয়ে আসা হবে। কিন্তু রাজ্যের প্রতিটি বুথের বুথচিত্র অনুসারে (সাধারণ, স্পর্শকাতর, অতি স্পর্শকাতর) নিরাপত্তার কথা কিশোরবাবু কিছু জানাননি। এমনকি তিনি জানান, নির্বাচনের কাজে বনরক্ষী, কারারক্ষী বা আবগারি দপ্তরের নিরাপত্তা রক্ষীদের ব্যবহার করা হবে। দেবাশিসবাবু আরো জানান, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী এই সুরক্ষা ব্যবস্থায় ‘সন্তুষ্ট’ বলে আদালতকে জানিয়েছেন। কিন্তু সত্যিই যদি এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা হয়, আমরা তাতে মোটেই সন্তুষ্ট নই। এই মামলায় আরো কিছু আবেদনকারীর বক্তব্য আগামী বৃহস্পতিবার শুনে বিচারপতিরা দুপুর দুটোর সময় এই মামলার রায় দেবেন বলে জানিয়েছেন। আশা করি বিচারপতিরা অনুধাবন করবেন যে নির্বাচনের সময়ের কঠিন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বনরক্ষী, কারারক্ষী, আবগারি দপ্তরের নিরাপত্তা রক্ষী বা সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে সামলানো সম্ভব নয়। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই মানবিক রায় দেবেন, তবে যদি সেই রায় সরকারি কর্মচারীদের স্বার্থরক্ষা না করে তাহলে হয়ত আমরা উচ্চতর আদালতে যাওয়ার কথা ভাবব। তবে আমাদের আশা, রাজ্যের লক্ষ সরকারি কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে বিচারপতিরা মানবিক রায়ই দেবেন। আপনার মতামত জানান -