প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি ঘটেছে বলে, বারবার দাবি করা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই সরকারের আমলে রাজ্যে বহু মেডিকেল কলেজ, সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। যেখানে সর্বাধুনিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত আছে।

এছাড়াও আনা হয়েছে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড। যেখানে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার পরিসেবা পাওয়া যাবে বিনামূল্যে। যদিও, তৃণমূলের এই দাবিকে বারবার নস্যাৎ করে দিয়েছে রাজ্যের বিরোধী শিবির। আর এবার রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তোপ দেগে, আজ বিজেপিতে যোগদান করলেন বহু বিখ্যাত চিকিৎসক।

প্রসঙ্গত, বিরোধীরা বারবার পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে নানা অভিযোগ করেছেন। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে ইতিপূর্বে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকেও। আজ কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত ২০ জন চিকিৎসক রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিজেপিতে যোগদান করলেন। বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের নেতৃত্বে বিজেপিতে যোগদান করলেন তাঁরা। চিকিৎসকদের অভিযোগ, ১০ বছরে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা একেবারে বেহাল অবস্থায় চলে গেছে। রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ধরতেই বিজেপিতে যোগদান করেছেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। মুকুল রায়ের নেতৃত্বে কৃষ্ণনগর শহরের একাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ২০ জন চিকিৎসক আজ বিজেপিতে যোগদান করেছেন। বিজেপিতে যোগ দেবার পর তাঁরা জানালেন যে, গত ১০ বছরে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিসেবা অত্যন্ত করুণ হয়ে উঠেছে। রাজ্যের এই বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ছবি পরিস্কার হয়ে ফুটে উঠেছে করোনা সংক্রমণ কালে। তাঁরা আশা করছেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি ঘটবে।

সাধারণ মানুষ এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবেন। মানুষের ঘরে ঘরে স্বাস্থ্যপরিসেবা পৌঁছে যাবে। একারণেই তাঁরা যোগদান করলেন বিজেপিতে। আজ ২০ জন স্বনামধন্য চিকিৎসকের বিজেপিতে যোগদানের পর বিজেপি নেতা মুকুল রায় জানালেন যে, কেন্দ্রের মোদী সরকার আর রাজ্যের বিজেপি সোনার বাংলা গঠনের সংকল্প নিয়েছে। বিজেপির এই সংকল্প পূরণ করতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বিজেপিতে যোগদান করছেন। তিনি জানালেন, বামেদের ৩৪ বছরের শাসনকালে মানুষের ঘরে ঘরে চিকিৎসা ব্যবস্থা পৌঁছায়নি। তৃণমূল সরকারের আমলে স্বাস্থ্যপরিসেবা আরো বেশি খারাপ হয়ে পড়েছে।

প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, কোন সরকারি হাসপাতালে গেলে মনে হয় যে, বিশ্বের মধ্যে উন্নত কোন হাসপাতালে আছেন। তৃণমূলের দাবি, তৃণমূলের আমলে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হয়েছে। কিন্তু আজ ২০ জন চিকিৎসকের এই পদক্ষেপ প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল তৃণমূলের এই দাবিকে। চিকিৎসকদের এই পদক্ষেপে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ভারে মা ভবানী অবস্থা প্রকাশ্যে চলে এলো, বলে একাধিক বিশ্লেষকের দাবি।