এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে ক্রমশ ঘুম উড়ছে তৃণমূলের, হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীদের মন্তব্যে জল্পনা!

গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে ক্রমশ ঘুম উড়ছে তৃণমূলের, হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীদের মন্তব্যে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস বিভিন্ন জেলায় সংগঠনকে সাজাতে শুরু করেছে। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ফলাফল খুব একটা ভাল হয়নি। তবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যাতে ভালো ফল হয়, তার জন্য তৎপরতা অবলম্বন করেছে তৃণমূল। কিন্তু সংগঠনে পরিবর্তন আনার পরেও, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে। কোচবিহার থেকে শুরু করে জলপাইগুড়ি, বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের নানা নেতা মন্ত্রীদের মন্তব্য অস্বস্তিতে ফেলছে দলকে। স্বাভাবিক ভাবেই সামনে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসছে, তাতে বিজেপি ফায়দা তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই অবিলম্বে ঘাসফুল শিবির নেতা মন্ত্রীদের মন্তব্যে যাতে রাশ টানে, তার ওপর জোর দিতে বলা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই কিছুদিন আগে উত্তরবঙ্গে এসে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চা শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গের মেডিকেল কলেজের শিলান্যাস করতে দেখা গেছে তাকে। পাশাপাশি রাজবংশী কালচার বোর্ডকে 10 কোটি টাকা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাভাবিক ভাবেই উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের ভিতকে যে এখানে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেভাবে বাড়ছে, তা সবথেকে বেশি অস্বস্তিতে ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু কেন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখনও উত্তরবঙ্গে মিটতে দেখা যাচ্ছে না? জানা গেছে, নতুন কমিটি ঘোষণা হওয়ার পরেও জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কিষান কল্যাণীর সঙ্গে সমস্যা মেটেনি সেই পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসুর। অন্যদিকে আলিপুরদুয়ারের সভাপতি মৃদুল গোস্বামীকে মানতে নারাজ সেই জেলার প্রাক্তন সভাপতি মোহন শর্মা। একইভাবে কোচবিহার জেলাতে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে সরিয়ে পার্থপ্রতিম রায়কে সভাপতি করার পর নতুন জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এই জেলা কমিটি গঠন হওয়ার সাথে সাথেই দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন কোচবিহার দক্ষিনের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। সমস্ত পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই উত্তরবঙ্গের একের পর এক জেলায় এভাবে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসায় রীতিমত অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের প্রশ্ন, বারবার দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কড়া বার্তা দেওয়া হচ্ছে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার জন্য। কিন্তু তা স্বত্তেও যেভাবে একের পর এক জেলার তৃণমূল নেতারা একে অন্যের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন, তাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সবথেকে বড় কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে তৃনমূল কংগ্রেসের কাছে। কবে মিটবে নেতায়-নেতায় এই গন্ডগোল? এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “আশঙ্কা সেটা নিয়েই। লোকসভা ভোটে বিজেপির জয়ের অন্যতম কারণ ছিল হিন্দুত্ববাদ নিয়ে প্রচার। যা কোনোদিন এখানে ছিল না। উন্নয়নকে হাতিয়ার করে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী এগোচ্ছেন। আর ওরা কৃষি-শিল্প শেষ করে শুধু ধর্ম নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। এই সময় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে সকলের এক হয়ে লড়াই করা দরকার।”

কিন্তু এই বার্তা তো তৃণমূলের পক্ষ থেকে বারবার দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারপরেও যেভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে, তাতে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের অনৈক্য তৃণমূলকে আবার ডোবাবে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে ভারতীয় জনতা পার্টি অনেকটাই মাইলেজ পেয়ে যাবে এখানে। তবে আগেভাগে এই সমস্যাকে অনুধাবন করে এখন উত্তরবঙ্গের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!