এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রথম দফার ভোটের সকালে অন্য ছবির সাক্ষী বাংলা, হিংসার বদলে শাসক-বিরোধী সৌজন্য!

প্রথম দফার ভোটের সকালে অন্য ছবির সাক্ষী বাংলা, হিংসার বদলে শাসক-বিরোধী সৌজন্য!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবারের নির্বাচন অত্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস এবং অন্যদিকে বিজেপি। এছাড়াও সংযুক্ত মোর্চা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই জমে উঠেছে লড়াই। প্রচারে একে অপরের বিরুদ্ধে যেভাবে সরব হয়েছেন, তাতে ভোটের দিন সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা উত্তপ্ত হতে শুরু করবে বলেই মনে করা হয়েছিল। কেননা বাংলায় ছোট থেকে বড় যে কোনো নির্বাচন হলেই হিংসার ঘটনা ঘটে।

সেদিক থেকে এই হিংসাকে আটকানোর জন্য সচেষ্ট ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু অন্যান্যবার ভোটের দিনে যতটা অশান্তির ঘটনা সামনে আসে, এবারেও ছোটখাটো বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা সামনে আসলেও এক অন্য দৃশ্য চোখে পড়তে দেখা গেল। যেখানে রানিবাঁধ বিধানসভায় একটি বুথে মুখোমুখি হতে দেখা গেল তৃণমূল প্রার্থী এবং বিজেপি প্রার্থীকে। দুজনের মধ্যে সৌজন্যমূলক কথাবার্তাও হল। যা দেখে রীতিমত খুশি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

বস্তুত, আজ প্রথম দফার ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে রীতিমতো সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সকাল থেকেই সকলের নজর রয়েছে, কোথাও কোনো অশান্তির ঘটনা ঘটে কিনা। আর এর মাঝে যখন বিক্ষিপ্ত বেশকিছু অশান্তির ঘটনা সামনে আসতে শুরু করেছে, তখন সৌজন্যের দৃশ্য চোখে পড়ল বাংলায়। যেখানে রানিবাঁধ বিধানসভা কেন্দ্রের কুরকুটিয়া হাইস্কুলে সাতসকালেই ভোট দিতে উপস্থিত হন রানিবাঁধের তৃণমূল প্রার্থী জ্যোৎস্না মান্ডি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেই সময় উপস্থিত ছিলেন এই বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ক্ষুদিরাম টুডু। দুজনের মুখোমুখি দেখা হয়ে যাওয়ার কারণে বেশ কিছুক্ষণ তারা সৌজন্যমূলক কথাবার্তা বলেন। আর বাংলায় ভোটের সময় হিংসা হয় বলে যখন একাংশ অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন, তখন এই ধরনের ঘটনা সেই অভিযোগকে কার্যত বিলীন করে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কমিশন থেকে শুরু করে প্রশাসন সকলেই চাইছেন, এবারের নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণ হয়। এক্ষেত্রে প্রতিবার নির্বাচনের সময় কোনো না কোনো মায়ের কোল খালি হতে দেখা গেছে। কিন্তু এবার যাতে বিন্দুমাত্র সন্ত্রাস বা সংঘর্ষ না হয়, তার জন্য অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।

তবে যেভাবে রাজনৈতিক ময়দানে একদল অপর দলকে উদ্দেশ্য করে কটাক্ষ এবং আক্রমণ শুরু করে দিয়েছিলেন, তাতে ভোটের সময় পরিবেশ কিছুটা হলেও উত্তপ্ত হতে পারে বলেই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রথম দফার ভোট হিংসার বদলে শাসক-বিরোধী দুই প্রার্থীর সৌজন্যতা চোখে পড়ল। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!