এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুজোর আনন্দে বাড়তে পারে করোনার ঢেউ! নিজের বাহিনী নিয়ে মোকাবিলায় কোমড় বেঁধে তৈরী মুখ্যমন্ত্রী

পুজোর আনন্দে বাড়তে পারে করোনার ঢেউ! নিজের বাহিনী নিয়ে মোকাবিলায় কোমড় বেঁধে তৈরী মুখ্যমন্ত্রী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার ভ্রুকুটির মধ্যেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গা পূজার আগমনী গান বেজে উঠেছে। যদিও করোনা সংক্রমনের কারণে উৎসবের মেজাজ এবারে অনেকটাই ফিকে। এ বছরের দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে গতকাল নবান্নে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকে রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যার মধ্যে একটি হলো, পুজোর সময় করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় ও প্রতিরোধে কোনরকম ঢিলেমি দেওয়া চলবে না। পুজোর ছুটির দিনগুলোতেও চালানো হবে করোনা টেস্ট। সেই সঙ্গে, করোনা জয়ীদের সেবক হিসেবে নিয়োগ করা হবে পূজার বিভিন্ন মন্ডপ গুলিতে।

গতকাল আসন্ন পুজোকে কেন্দ্র করে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়ে গেল নবান্নে। গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠকের উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজ্য পুলিসের ডিজি, কলকাতা পুলিস কমিশনার, কলকাতা , হাওড়া কর্পোরেশনের কমিশনার ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিকরা। সেইসঙ্গে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, এসপি, অন্যান্য কমিশনারেটের পুলিস কমিশনার ও সিএমওএইচ ভার্চুয়াল ভাবে এই বৈঠকে যোগদান করেছিলেন। বৈঠক চলাকালীন ফোন করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশ ও পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

নবান্নে গতকালের এই বিশেষ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, এবারের পুজোয় পুজো মণ্ডপগুলিতে সেবক হিসেবে বিভিন্ন কাজ করবেন সরকারি খাতায় নথিভূক্ত করোনা জয়ীরা। এই কাজের জন্য তাঁদের দিন পিছু ৫০০ টাকা করে সাম্মানিক দেওয়া হবে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে। সম্প্রতি রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই প্রায় দেড় হাজার করোনা জয়ীর নাম প্রশাসনের কাছে নথিভূক্ত করেছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি। এই করোনা জয়ীরাই এবারে পুজো মণ্ডপে বিভিন্ন কাজ করবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়েছেন পুজোর সময় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা, প্রশাসন যেন ঠিক থাকে। রাজ্যের প্রশাসনের সকলকে এ বিষয়ে বিশেষ ভাবে সচেতন থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে প্রশাসনকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যে, পুজোর দিনে রাজ্যের সমস্ত স্থানে যেন করোনা বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা হয়, তার জন্য যেন যথাযথ প্রচার চালানো হয়। সেইসঙ্গে পুজোর দিন গুলোতেও যেন করোনা টেস্ট চালানো হয়। এছাড়া মণ্ডপে আসা দর্শকদের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনে পুলিশকে মাস্ক বিলির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গতকাল নবান্ন থেকে যখন মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠক চলছিল, তখনও এবারের পূজা সংক্রান্ত বিষয়ে তার রায়দান করেনি কলকাতা হাইকোর্ট। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ রায়ে দর্শকহীন পূজামণ্ডপ, মন্ডপের বাইরে নো-এন্ট্রি বোর্ড, মণ্ডপগুলিকে কনটেনমেন্ট জোন করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!