এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ‘মেয়েবাজ দালালরা’ প্রকৃত বিজেপি নেতাদের আটকাচ্ছেন? প্রভাবশালী নেতার পোস্টে শোরগোল পদ্মশিবিরে

‘মেয়েবাজ দালালরা’ প্রকৃত বিজেপি নেতাদের আটকাচ্ছেন? প্রভাবশালী নেতার পোস্টে শোরগোল পদ্মশিবিরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ সরকার। এরপর থেকেই নদীয়া জেলা বিজেপির অন্দরে সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও তরুণ নেতা মুকুটমণি অধিকারীর দূরত্ব তৈরি হয়। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতভেদ দেখা দিতে থাকে। এরমধ্যেই দলের নেতাদের নিশানা করে ফেসবুকে পোস্ট করলেন মুকুটমণি অধিকারী। পোস্টে তিনি কোন নেতার নাম না করলেও, অনেকেই মনে করছেন এই পোস্টে তাঁর আক্রমণের লক্ষ্য হলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

যে পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক। তবে এ প্রসঙ্গে সাংসদ জগন্নাথ সরকার জানিয়েছেন যে, যারা দলের বিরুদ্ধে এ ধরনের পোস্ট করছেন, তাঁরা দলে থেকেও বিরোধীদের সুবিধা করে দিচ্ছেন, তাদের হয়ে দালালি করছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত গত লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল তরুণ চিকিৎসক মুকুটমণি অধিকারীকে। কিন্তু হাসপাতালের চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে না পারায় শেষ পর্যন্ত তাঁকে প্রার্থী করা সম্ভব হয়নি। সেসময় প্রার্থী করা হয়েছিল বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি জগন্নাথ সরকারকে।

নির্বাচনে তিনি জয়ী হন। এরপর মানবেন্দ্রনাথ রায়কে করা হয় নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি। অন্যদিকে মুকুটমণি অধিকারীকে করা হয় জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক। এই সময় থেকেই নদীয়া জেলা বিজেপিতে জগন্নাথ- মুকুটমনি বিরোধের সূত্রপাত দেখা যায়। পরবর্তীতে নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতির পদ থেকে মানবেন্দ্রনাথ রায়কে অপসারিত করে সেখানে আনা হয় অশোক চক্রবর্তীকে। যিনি জগন্নাথ সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আবার জেলা কমিটি থেকে অপসারিত করা হয় মুকুটমণি অধিকারীকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর মুকুটমণি অধিকারীকে জেলার মতুয়া সংগঠনের নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয়। এরপর মতুয়াদের উপর প্রভাব বিস্তার প্রসঙ্গে মুকুটমণি অধিকারির সঙ্গে সাংসদ জগন্নাথ সরকারের বিরোধ বৃদ্ধি পায়। এই পরিস্থিতিতেই ফেসবুকে এই পোস্ট করলেন তরুণ নেতা মুকুটমণি অধিকারী। যে পোস্টটি ঘিরে বিরাট শোরগোল পড়ে গেল নদিয়া জেলা বিজেপির অন্তরে। তরুণ মত নেতা মুকুটমণি অধিকারী তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “প্রকৃত বিজেপি কর্মকর্তারা নদিয়া দক্ষিণ জেলার মেয়েবাজ দালালদের ঘৃণার শিকার। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব কি ভাবছে?”

প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই জনৈক মহিলার সঙ্গে সাংসদ জগন্নাথ সরকারের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এর বিষয় নিয়ে জোর তোলপাড় হয়েছিল নদীয়া জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে। তাই অনেকেই মনে করছেন সরাসরি নাম না করলেও মুকুটমণি অধিকারী সাংসদ জগন্নাথ সরকারকেই তাঁর আক্রমণের লক্ষবস্তু করেছেন। যা নিয়ে দলের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ফেসবুকে তার এই পোষ্ট সম্পর্কে তরুণ নেতা মুকুটমণি অধিকারী জানিয়েছেন যে, তিনি কারও নাম বলতে চান না। তবে তিনি এটাই জানাতে চান, সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি যা দেখছেন, তাতে নদিয়া দক্ষিণে দলের মহিলা কর্মীরা মোটেই সুরক্ষিত নন।

এই কারণেই পরিবারের মহিলাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করতে দিতে ভয় পাচ্ছেন অনেকেই। এ বিষয়টি তিনি রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। তাঁর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সাংসদ জগন্নাথ সরকার জানালেন, ” যিনি বা যাঁরা এই ধরনের কথা বলছেন তাঁদের মস্তিষ্কের সুস্থ্তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। তাঁরা আসলে প্রকৃত বিজেপি নন। তারা বিরোধীদের দালালি করছেন। বিরোধীদের সুবিধা করে দেওয়ার জন্যই এই ধরনের ভুলভাল বকতে শুরু করেছেন।”

অন্যদিকে বিজেপি নেতা মকুটমণি অধিকারীর এই পোস্ট প্রসঙ্গে বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অশোক চক্রবর্তী জানালেন যে, মুকুটমণি অধিকারীর বক্তব্যের সঙ্গে তিনি সহমত নন। কারো যদি কিছু বলার থাকে তবে তিনি দলের মধ্যে তা বলতে পারতেন। কিন্তু তিনি যা করেছেন, তা দলের শৃঙ্খলা বিরোধী। তার প্রতি লক্ষ্য রাখবে দল। তিনি কি বলেছেন বা বলতে চাইছেন সে বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে দলের পক্ষ থেকে।তবে মকুটমণি অধিকারীর এই পোস্টকে কেন্দ্র করে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এলো। যা নিয়ে অস্বস্তি বাড়লো নদীয়া জেলা বিজেপির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!